লোকাল ট্রেন চালু হতেই ভিড় উপচে পড়েছে। তাতে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার। একটি আসনে যেখানে তিনজনের বসার কথা সেখানে অবলীলাক্রমে চারজন বসে পড়ছে। আবার মুখের সামনে দাঁড়িয়ে অন্যান্য যাত্রীরা। দূরত্ববিধির জন্য তৈরি করা ক্রস চিহ্ন কেউ মানছেন না। অথচ সেখানে লেখা রয়েছে, ‘দয়া করে এখানে বসবেন না’। কে শোনে কার কথা। ঠেসাঠেসি করে বসে রয়েছেন সকলেই। প্রতি মুহূর্তে ট্রেন ভরে উঠছে।
রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী, ট্রেনে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চালাতে হবে। কিন্তু কোথায় ৫০ শতাংশ? উঠেছে প্রশ্ন। গত ৩১ অক্টোবর থেকে রাজ্যে লোকাল ট্রেন চালু হয়েছে। তারপর থেকেই শিকেয় উঠেছে করোনাভাইরাসের বিধি এবং শারীরিক দূরত্ব। রেজই ভিড় বাড়ছে বলে নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ। রেল সূত্রে খবর, গোটা দিনের জনসমাগম করোনাভাইরাস পূর্ববর্তী স্বাভাবিক জনসমাগমকে প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে। এখন শিয়ালদহ স্টেশন দিয়ে ১৪ থেকে ১৬ লক্ষ যাত্রী আসা–যাওয়া করছেন। আগে সেই সংখ্যাটি ছিল ১৮ লক্ষের আশপাশে। হাওড়া স্টেশনে এই সংখ্যা দশ লক্ষ স্পর্শ করেছে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
দূর্ত্ববিধি শিকেয় ওঠার পাশাপাশি যাত্রীদের মুখে মাস্ক দেখা যাচ্ছে না। আরপিএফ রক্ষীদের সামনে দিয়েই মাস্ক ছাড়া যাত্রীরা বিনা বাধায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এই চিত্র আরও ভাবিয়ে তুলেছে। রেলকর্তাদের সাফাই, রোজই বিনা মাস্কের যাত্রীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তাঁদের জরিমানা করা হচ্ছে। শিয়ালদহ ডিভিশনের বনগাঁ, হাসনাবাদ, রানাঘাট, শান্তিপুর, সোনারপুর, বারুইপুর বা ডায়মন্ড হারবার লোকালে ভিড় উপচে পড়তে দেখা গিয়েছে।
এই বিষয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, ‘যাত্রীদের সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। মাস্কহীন যাত্রীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। রোজ লোকাল ট্রেনের কামরা স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। যাত্রীদের সচেতন করতে প্রচারও করা হচ্ছে।’ যদিও এই ভিড় সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।