পশ্চিমবঙ্গে PFI-এর তেমন প্রভাব ছিল না, বলছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা রিপোর্ট

সন্ত্রাসবাদী কাজে মদত দেওয়ার অভিযোগে চলতি সপ্তাহেই নিষিদ্ধ হয়েছে পপুলার ফ্রন্ট ও ইন্ডিয়া বা PFI. সংস্থার প্রায় ২৫০ জন নেতা ও সদস্যকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বাজেয়াপ্ত হয়েছে সমস্ত সম্পত্তি ও টাকা। আপাতত ৫ বছরের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। তবে গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে পশ্চিমবঙ্গে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি PFI.

গত বুধবার PFI-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। তার আগে ২ দিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংস্থার একাধিক ঠিকানায় হানা দেন গোয়েন্দারা। তার মধ্যে ছিল কলকাতার বেশ কয়েকটি ঠিকানাও। যাতে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল, তবে কি পশ্চিমবঙ্গেও মাথাচাড়া দিচ্ছিল এই বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন। কিন্তু কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গে সংগঠনের প্রভাব ছিল নিতান্ত নগন্য। পার্ক সার্কাস, মালদা ও মুর্শিদাবাদে তাদের অফিস ছিল বটে। তবে লোকজন ছিল না। জনা কয়েক মিলে চালাতেন সংগঠনের কাজকর্ম। যার ফলে এরাজ্য থেকে সংগঠনের কোনও সদস্য গ্রেফতারও হননি। সংগঠনের মূল কাজ কর্ম ছিল উত্তর প্রদেশ ও কেরল কেন্দ্রিক।

কেন্দ্র জানাচ্ছে, দেশে গেরিলা যুদ্ধের পরিকল্পনা ছিল PFI এর। ১৭ ফেব্রুয়ারি দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের। সেজন্য জঙ্গিবাহিনী তৈরি করছিল সংস্থাটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.