অতিবর্ষণে বিপর্যস্ত জনজীবন, সেতু ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, ঘাটাল হাসপাতালে জল ঢুকে ভোগান্তি রোগীদের

গত দু’দিন ধরে বৃষ্টি শুরু হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাজুড়ে। আর তার একাধিক প্রভাব পড়েছে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। ঘাটালে ঝুমি ও শিলাবতী নদীর উপরে থাকা যোগাযোগের বিভিন্ন সেতু ভেঙ্গে গেছে কচুরিপানা ও জলের চাপে। যোগাযোগ সমস্যা তৈরি হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর ও হুগলির মধ্যে।

রাতের অতি বর্ষণে ঘাটাল হাসপাতালের মধ্যেও জল থৈ থৈ অবস্থা। জল ঢুকেছে চন্দ্রকোনা এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে। বুধবার ভোর থেকে দুপুরের মধ্যেই ঘাটালের মনশুকা চাতাল সহ বিভিন্ন স্থানে থাকা ঝুমি নদীর ওপরে বাঁশের সেতুগুলি এক এক করে ভেঙ্গে ভেসে যায় জল ও কচুরিপানার চাপে। অতি বর্ষণ শুরু হতেই জলস্ফিতি হয় ঝুমি নদীতে। তখনই নদীতে থাকা কচুরিপানা এসে বিভিন্ন বাঁশের সেতুগুলিতে ধাক্কা দেয়। তার চাপেই ঘাটাল এলাকার ঝুমি নদীর ওপরে থাকা ৮টি সেতুর ৭টি সেতু ভেঙ্গে ভেসে গিয়েছে বুধবার দুপুরের মধ্যে। পশ্চিম মেদিনীপুর ও হুগলির মধ্যে বহু জায়গায় যোগাযোগ এর ফলে বিছিন্ন হয়েছে। অনেকগুলি জায়গায় নৌকা করে পারাপার শুরু হয়েছে।

চন্দ্রকোনা টাউন থানা এলাকার রাইলা গ্রামে বহু গ্রামবাসীর বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে খালের জল বেড়ে। চরম ভোগান্তি শুরু হয়েছে গ্রামবাসীদের মধ্যে। বুধবার রাতভর বর্ষণের কারণে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের ভেতরে বিভিন্ন নালা দিয়ে জল ঢুকে যায়। হাসপাতালের ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়।

রোগীরা জানান, হাসপাতালের ভেতরেই চিকিৎসা পরিষেবা থেকে যাতায়াত সমস্যা তৈরি হয়েছে। কেশপুরের ধন্যাগেড়িয়া এলাকায় অতি বর্ষণের ফলে চাষের মাঠ জলে ডুবে গিয়েছে। জল থৈ থৈ অবস্থা চারদিকে। অনেক স্থানে যাতায়াতের গ্রামীন রাস্তাতেও জল উঠে সমস্যা তৈরি হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.