আর কয়েক মিনিট দেরি হলেই বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেত শিয়ালদহগামী লোকাল ট্রেনে। কিন্তু সাধারণ মানুষের তৎপরতায় এই বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল লোকাল ট্রেন। শনিবার এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। কারণ ট্রেন লাইনে বড় ফাটল ছিল। যা দূর থেকে চালকের বোঝা সম্ভব ছিল না। সেটা দেখতে পান সাধারণ মানুষ। তাই তাঁরা তৎপর হয়ে ওঠেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, তখন ট্রেনটি শিয়ালদহ আসছিল। কিন্তু নামখানা লাইনের কুলপি এবং করঞ্জলি স্টেশনের মধ্যে শ্রীনগর এলাকা আছে। এখানেই শনিবার সকালে রেললাইনে বড় ফাটল দেখা যায়। প্রথমে একজন সেটা দেখতে পেয়ে বাকি মানুষজনদের খবর দেন। ততক্ষণে দ্রুতগতিতে আসছিল লোকাল ট্রেনটি। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে লাইন ধরে লাল কাপড় নিয়ে হাঁটতে শুরু করেন তাঁরা। সেটা দেখে চালক বুঝতে পারেন সামনে কোনও বড় বিপদ অপেক্ষা করছে। এই দেখে তিনি ট্রেন থামিয়ে দেন।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
ট্রেন থেকে নেমে চালক দেখেন সামনেই ছিল সাক্ষাৎ মৃত্যু। কারণ রেললাইনে বড় ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি নিজে এই খবর রেলকর্মী এবং রেলপুলিশকে দেন। তখন তড়িঘড়ি সেখানে রেলের আধিকারিকরা ছুটে আসেন। তাঁরা এসে লাইন সারাইয়ের কাজ শুরু করেন। এই ঘটনায় আপ লাইনে প্রায় একঘণ্টা বন্ধ থাকে ট্রেন চলাচল।
লাইনের ফাটল মেরামত করতে দেরি হয়। তাতে নিত্যযাত্রীদের অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। তবে ফাটল সারাইয়ের কাজ শেষ হলে আবার নামখানা–শিয়ালদহ আপ লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। সাধারণ মানুষ বড় দুর্ঘটনা এড়াতে যেভাবে এগিয়ে এসেছিলেন তাতে তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি লোকাল ট্রেন সময়ে চলছে না বলে তালান্ডি স্টেশনে বিক্ষোভ–অবরোধ করেছিলেন নিত্যযাত্রীরা।