তালিবানি হামলার মুখে পালাচ্ছে মানুষ, আফগান শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে পারে ভারত

তালিবানদের হাতে কাবুলের পতন এখন মাত্র সময়ের অপেক্ষা। এমনই জানা গিয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী। যদিও তালিবানরা দাবি করেছে তারা কাবুলে রক্তক্ষয় চায় না। বিনা যুদ্ধেই ক্ষমতার হস্তান্তর চায় তারা। তবে একবার ক্ষমতায় চলে এলে তালিবান কীভাবে সরকার চালাবে তা নিয়ে চরম সংশয় তৈরি হয়েছে আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষের মনে। এই আবহে আফগান নাগরিকদের আশ্রয় দিতে পারে নয়াদিল্লি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদেশ মন্ত্রকের এক আধিকারিক দানিয়েছেন, খুব সম্ভবত আফগান রাজনীতিবিদ, মাবাধিকার কর্মী, মিডিয়া কর্মী, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের আশ্রয় দেওয়া হতে পারে ভারতে। উল্লেখ্য, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই কবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আফগান নাগরিকদের দেশ ছেড়ে যাওয়ার হিড়িক নজরে পড়েছে। সেই সব ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। ভারতে আসার জন্যে ভিসার আবেদন তড়তড়িয়ে বেড়েছে এরই মাঝে। এদিকে কানাডা ঘোষণা করেছে তারা ২০ হাজার আফগান শরণার্থীকে গ্রহণ করবে। আমেরিকাও বিশেষ কয়েক হাজার আফগানরে আশ্রয় দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।

তালিবানিদের বাড়বাড়ন্তে ঘুম ছুটেছে সাধারণ আফগান নাগরিকদের। প্রাণ বাঁচাতে বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে শুরু করেছেন তাঁরা। তাঁদের আশঙ্কা, আফগানিস্তানে ফের একবার তালিবানি শাসন জারি হওয়াটা কার্যত সময়ের অপেক্ষা। আর একবার বর্তমান সরকার পড়ে গেলেই ফের শুরু হয়ে যাবে জুলুমবাজি। তালিবানি শাসনে নারীর অধিকার বলে কিছু নেই। নাগরিক অধিকারও তারা মানে না। জঙ্গিদের নির্দেশ না মানলেই কপালে জুটবে মৃত্যু। ফের ঘটবে প্রকাশ্যে মুণ্ডচ্ছেদ, পাথর ছুড়ে খুনের মতো ঘটনা। ইতিমধ্যেই ফতোয়া জারি করে বহু জায়গায় বন্ধ করা হয়েছে কোভিড টিকাকরণ। দখল হয়েছে ক্রিকেট স্টেডিয়াম।

এর আগে তালিবানের মুখপাত্র সুহেল শাহীন সংবাদ সংস্থা এএনআইকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘যদি ভারতীয় সেনা আফগানিস্তানে আসে, তাহলে আমার মনে হয়, তা ভাল হবে না তাদের জন্য। অন্য দেশ থেকে আফগানিস্তানে সেনা পাঠালে কী হয়, তা সবাই দেখেছে। সুতরাং, তাঁরা যদি আসেন, নিশ্চয় সবটা জেনেই আসবেন। আর আফগানিস্তানের নাগরিক এবং জাতীয় প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রে ভারত যে সাহায্য করেছে, আমার মনে হয় সেগুলি প্রশংসার যোগ্য।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.