‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমন নয়’, নবান্ন অভিযানের আগে রাজ্যকে সতর্কবাণী শোনালেন রাজ্যপাল বোস

মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযানের আগে রাজ্য সরকার এবং পুলিশকে ‘বার্তা’ দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ এবং সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ওই কর্মসূচিকে সোমবার ‘পশ্চিমবঙ্গের পড়ুয়াদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ’ বলে চিহ্নিত করেছেন তিনি। ঘটনাচক্রে, পুলিশের অনুমতি ছাড়াই যে অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে।

রাজভবন থেকে ৪০ সেকেন্ডের ভিডিয়ো-বার্তায় রাজ্যপালের অভিযোগ, পড়ুয়ারা নবান্ন অভিযান কর্মসূচি ঘোষণার পরেই রাজ্য সরকার দমনের পথ নিয়েছে বলে খবর এসেছে। সরকারের বিভিন্ন নির্দেশ তারই ইঙ্গিতবাহী। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের উল্লেখ করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমি বলতে চাই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদীদের দমন করতে পশ্চিমবঙ্গে যেন সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করা না হয়। মনে রাখবেন, গণতন্ত্র মানে নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠতা, সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে নীরব করে দেওয়া নয়।’’

প্রসঙ্গত, সোমবার সন্ধ্যায় একটি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে রাজ্য পুলিশের এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার জানান, মঙ্গলবারের ওই অভিযানের জন্য প্রথমে পুলিশের কাছ থেকে কোনও অনুমতি চাওয়া না হলেও সোমবার দুপুরে দু’টি ইমেল আসে। কিন্তু তাতে বেশ কয়েকটি সমস্যা থাকায় পুলিশ দুই সংগঠনেরই নবান্ন অভিযানেরই অনুমতি দেয়নি। ঘটনাচক্রে, তার পরেই এল রাজ্যপাল বোসের এই বিবৃতি। মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযান ঠেকাতে নিরাপত্তা বলয়ও ঢেলে সাজাচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। সোমবার জানা গিয়েছে, পুলিশ সুপার, ডিসিপি বা কমান্ডান্ট পদমর্যাদার ১৩ জন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, এডিসিপি পদের ১৫ জন, ডেপুটি পুলিশ সুপার বা এসিপি পদের ২২ এবং ২৬ জন ইনস্পেক্টর নবান্ন অভিযান ঠেকাতে মোতায়েন থাকবেন। তাঁরা শিলিগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, নদিয়া, দুই মেদিনীপুর, হুগলি, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, সুন্দরবন এলাকা থেকে আসছেন। তার পাশাপাশি র‌্যাফ, ইএফআর, স্ট্রাকো বাহিনীর জওয়ান-সহ প্রায় ৬,০০০ পুলিশকর্মী নিযুক্ত থাকবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.