পুজোর পরে স্কুল খুলেছে। কিন্তু এখনও মনমরা কলকাতার পাঠভবনের শিক্ষকরা। আসলে এখনও বেতন পাননি পাঠভবনের শিক্ষকরা। কার্যত বাধ্য হয়েই স্কুলের সামনেই প্রতিবাদে শামিল হচ্ছেন শিক্ষকদের একাংশ। কিন্তু তাঁদের দাবি ক্লাসে যাতে কোনওভাবেই বিঘ্ন না ঘটে সেকারণে তাঁরা সব ব্যবস্থা করেছেন। ক্লাস শেষ হওয়ার পরেই তাঁরা প্রতীকী বিক্ষোভ শামিল হচ্ছেন। ক্লাস যথাযথই হচ্ছে। পড়ুয়াদের সমস্যা হচ্ছে না।
তবে স্কুলের পঠনপাঠনে যাতে কোনও সমস্য়া না হয় সেকারণে তাঁরা উদ্যোগী হয়েছেন। স্লোগান, প্লাকার্ড, ব্যানার কিচ্ছু নেই। শুধুই নীরব প্রতিবাদ। তাঁদের দাবি আর্থিক, প্রশাসনিক অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে স্কুলে। সেই অনিশ্চয়তা কাটানোর জন্যই এই প্রতিবাদ। কিন্তু প্রতিবাদে শামিল হতে গিয়ে পড়ুয়াদের পঠনপাঠনে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেদিকেও খেয়াল রেখেছেন তাঁরা।
তবে শুধু নিজেদের বেতনের বিষয়টি নয়, স্কুলের সামগ্রিক পরিচালনার ক্ষেত্রে কোথা থেকে অর্থ আসবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। কিন্তু কেন এই জটিলতা? কেন এই অনিশ্চয়তা? সূত্রের খবর, স্কুলের পরিচালন সমিতি নির্বাচন নিয়ে কিছুটা জটিলতা ছিল। পরে ডিআইয়ের অফিস থেকে ড্র অ্য়ান্ড ডিসবার্সমেন্ট অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু সেই ডিডিওকে মানতে পারেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেই জল আদালত পর্যন্ত গড়ায়। আর কার্যত তারপর থেকেই অনিশ্চয়তা আরও বাড়ছে। তবে সকলেই চাইছেন একটি সুষ্ঠু মিমাংসা হোক। স্কুলের শিক্ষকদের বেতনের পাশাপাশি স্কুলের বিদ্যুতের বিল, ফোনের বিল, একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের রেজিস্ট্রেশন ফি সহ সমস্ত ক্ষেত্রে সমস্যাগুলি মেটানোর দাবি তুলেছেন শিক্ষকরা।