দক্ষিণ-পূর্ব রেলের বহু ট্রেন বাতিল ও বেশ কিছু দেরিতে চলায় ক্ষোভ যাত্রীদের, মেচেদা স্টেশন মাস্টারকে স্মারকলিপি

 ১৪টি পাঁশকুড়া-হাওড়া ও মেছেদা-হাওড়া লোকাল ট্রেন গত ৭ জানুয়ারি থেকে চলাচল বন্ধ রয়েছে। ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে রেলসূত্রে জানাগেছে। আবার কিছু ট্রেন সাঁতরাগাছি পর্যন্ত যাবে। যে ট্রেনগুলি চলছে, সেগুলি প্রতিদিন এক থেকে-দেড় ঘন্টা করে দেরিতে চলছে। এর ফলে যাত্রীদের মধ্যে প্রবল বিক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে চরম সমস্যার মধ্যে পড়েছেন জেলার ফুল ও পানচাষিরা। সময়মত ফুল ও পান বাজারগুলিতে পৌঁছতে না পারার কারণে সঠিক দাম থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে চাষিরা। যে কোনো সময় যে কোনো স্টেশনে বিক্ষোভের ফলে স্টেশনগুলিতে খুবই সমস্যা হতে পারে যা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।

সারা বাংলা ফুলচাষি ও ফুলব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন, রেলের খামখেয়ালি ওই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে চরম ক্ষতির মুখে পড়ছেন ফুল ও পান চাষিরা। ট্রেনগুলি যাতে সময়সূচি মেনে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারে সেই দাবি করে নাগরিক প্রতিরোধ মঞ্চের পক্ষ থেকে আজ মেছেদা স্টেশন ম্যানেজারের মাধ্যমে সাউথ ইস্টার্ন রেলওয়ের খড়্গপুর ডিভিজানের ডিআরএমের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। ডেপুটেশনের পূর্বে স্টেশন চত্বরে ও স্টেশন ম্যানেজারের অফিসের সামনে বিক্ষোভ সভা হয়। এই বিক্ষোভ সভায় মঞ্চের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার আহ্বায়ক মধুসূদন বেরা, মেছেদা কমিটির সভাপতি সুজয় মাইতি, হেয়াতুল হোসেন, নিত্যযাত্রী রঞ্জিত প্রামানিক, রমেশ প্রামানিকও বক্তব্য রাখেন। সুজয় মাইতির নেতৃত্বে স্বপন মন্ডল, স্বপন দাস, সুব্রত দাস প্রমুখের এক প্রতিনিধি দল স্টেশন ম্যানেজারের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন।
স্টেশন ম্যানেজার শম্ভুনাথ ঘোড়ই দাবিগুলির সঙ্গে সহমত পোষণ করেন এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন বলে কথা দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.