ভার্চুয়াল শুনানিতে রোম্যান্টিক পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। স্ক্রিনেই চলল ‘খুলে-আম’ খুনসুটি। অর্পিতার দিকে লাভ সাইন দেখালেন পার্থ। উত্তরে হাসলেন অর্পিতাও। আবার অর্পিতাকে দুষ্টুমি করে জিভ ভেঙালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। হেসে গড়িয়ে পরলেন অর্পিতা। আবার একসময় অর্পিতাকে কপট বকুনিও দিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ২১ জুলাইয়ের পরে কেতে গিয়েছে এতদিন। তারপর ভার্চুয়াল শুনানি আর সেখানেই দেখা গেল এই রোম্যান্টিক ছবি।
১৫ মার্চ কলকাতা হাইকোর্টে শুরু হয় শুনানি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী তাঁর মেডিকেল সংক্রান্ত বিষয়ে সাবমিশন করছিলেন। সেই সময়েই কোর্টের ভিতরের স্ক্রিনে দেখা যায় পার্থ এবং অর্পিতাকে। এরপরের ঘটনা থেকে প্রশ্ন উঠছে যে দুজনেই কি সাইন ল্যাঙ্গুয়েজে অভ্যস্ত?
দুপুর ২.৫০ মিনিট। স্ক্রিনে দেখা গেল পার্থ অর্পিতাকে। একে অপরকে দেখে মুচকি হাসি। দুজনেই ভালো আছেন কিনা জানতে চাইলেন ইশারা করে। দুজনেই জানালেন ভালো আছেন। তারপর ২.৫৪ মিনিটে পার্থ ইশারা করে অর্পিতাকে জানতে চান খেলেছে কিনা। অর্পিতা পাল্টা জিজ্ঞেস করে খাওয়ার বিষয়ে। অর্পিতা ইশারা করে জিজ্ঞেস করে শুনতে পারছো? পার্থ জানান না। ইশারা করে পাল্টা একই প্রশ্ন পার্থ করেন অর্পিতাকে। অর্পিতাও জানায় না।
এরপর অর্পিতার উদ্দ্যশে জিভ বের করে ভেঙাতে দেখা যায় পার্থকে। তা দেখে হেসে ফেলেন অর্পিতা। আবার অর্পিতার প্রশ্ন আসে তিনি খেয়েছেন কিনা?
এরপর পার্থ অর্পিতার দিকে হারেজ সাইন দেখান। আবার হাসতে থাকে অর্পিতা। ৩.০৮ মিনিট নাগাদ নিজের নিল রঙের ফতুয়া হাত দিয়ে দেখান পার্থ। তা দেখে অর্পিতা মাথা নেড়ে সম্মতি দেখান।
৩.১০ মিনিটে আবার অর্পিতা পার্থকে জিজ্ঞেস করেন ইশারায় যে তিনি চা খেয়েছেন কিনা। ঠিক ওই সময় পার্থ বুকের বাম দিকের আঙুল দিয়ে কিছু লেখার ইশারা করেন।
৩.১১ মিনিটে আবার একে অপরকে দেখে হাসতে থাকেন তাঁরা। ৩.১২ মিনিটে হঠাৎ পার্থর স্ক্রিন ৩০ সেকেন্ড জন্য ডিসকানেক্ট হয়ে যায়। অর্পিতাকে কৌতুহলি হয়ে স্ক্রিনের সামনে এগিয়ে আসতে দেখা যায়। পার্থর স্ক্রিন ফিরতেই স্বস্তি ফেরে অর্পিতার চোখেমুখে।
৩.১৭ মিনিটে অর্পিতা চুলের গোছা সামনে আনেন। তা দেখে আবার মুচকি হাসি পার্থর। পার্থর গোঁফ দেখে ভালো লাগছে বলে ইশারা করেন অর্পিতা। ৩.২২ মিনিট নাগাদ আবার ডিসকানেক্ট হয়ে যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আবার স্ক্রিনের দিকে এগিয়ে এসে কী হল জানার প্রচেষ্টা করেন অর্পিতা। পার্থর স্ক্রিন ফিরতেই ইশারায় অর্পিতা জানতে চায় কেন ডিসকানেক্ট হল? পার্থ ইশারায় জানান চা খাচ্ছিলেন।
৩.৩০ নাগাদ অর্পিতা ঠোঁট দেখিয়ে কিছু ইশারা করেন। পার্থ ইশারায় বলেন মাথা কী খারাপ হয়ে গিয়েছে?
এরপরে ৩.৩০ মিনিট নাগাদ মানিক ভট্টাচার্য যখন বলতে শুরু করেন তখন তাঁরা কোর্টের দিকে নজর দেন।
বিচারকের সামনে নিজেদের বক্তব্য শেষ করার পর কোর্ট যখন শেষ হচ্ছে তখন পার্থকে দেখা যায় অর্পিতাকে লক্ষ করে থাম্বস আপ দেখাতে। এরপরে অর্পিতা কিছু লেখার ইশারা করেন।
যদিও এটা স্পষ্ট নয় তাঁরা জানেন কিনা যে তাদের খুনসুটি দেখা যাচ্ছিল কোর্টের ভিতরে।অন্যদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইডি-র জেরায় দাবি করেন যে তিনি অর্পিতাকে চেনেন না। কিন্তু আজকে যে ছবি ধরা পড়ল তার থেকে এটা স্পষ্ট যে তাদের মধ্যে একটা ভালবাসার সম্পর্ক রয়েছে। শেষের দিকে যখন শুনানির শেসে পার্থ চট্টোপাধ্যায় উঠে যাচ্ছেন তখনও অর্পিতা মুখোপাধ্যায় থাম্বস আপ দিচ্ছেন। সম্পুর্ন কোর্টরুম মঙ্গলবার স্তম্ভিত ছিল তাদের খুনসুটিতে।