পাঁচলার ঘটনায় কোনও তথ্যপ্রমাণ মেলেনি। সাংবাদিক বৈঠকে বললেন রাজ্য পুলিসের ডিজি মনোজ মালব্য। পাঁচলায় বিজেপি মহিলা প্রার্থীকে নিগ্রহের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। যে প্রসঙ্গে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য পুলিসের ডিজি মনোজ মালব্য বলেন, ‘১৩ তারিখে এক মহিলা ইমেইল মারফত আমাদের কাছে অভিযোগ করেন, ৮ তারিখ বুথের ভিতর মারধর করা হয়। তারপর তাঁর কাপড় ছিড়ে সম্মানহানিও করে। কিন্তু তার আগে কোনও অভিযোগ আসেনি।এরপর এসপি রুরাল থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয় এফআইআর করার জন্য। ১৪ তারিখ এফআইআর করে পুলিস। তারপর থেকে আমরা তদন্ত করে দেখেছি। কিন্তু এরকম কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। সব বুথে পুলিস ছিল। ভোটের দিন চারদিকে মানুষও ছিল। ওই এলাকার মানুষকেও জিগ্গেস করা হয়, কিন্তু কেউ বলতে পারেনি এইরকম কোনও ঘটনা ঘটেছে বলে।’
মনোজ মালব্য আরও বলেন, ‘কোর্টে গিয়ে ১৬৪ করতে বলেছি। এখনও ওবধি তাঁরা ১৬৪ করতে আসেননি। কোথায় মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট করিয়েছেন, সেটা পাওয়া যায়নি। আমাদের সঙ্গে গিয়েও মেডিক্যাল টেস্ট করাতে বলা হয়, সেটাও যাননি। মানুষের হাতে হাতে এখন মোবাইল থাকে, কিন্তু কেউ আমাদের এরকম কোনও ভিডিয়ো দিতেও পারেনি বা কেউ বলতেও পারেনি। ইতিমধ্যেই সেখানে বিরোধী দলনেতা গিয়েছিলেন, ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিও গিয়েছিল— কেউ-ই আমাদের কাছে কোনও অভিযোগ করেননি। হতে পারে তাঁদের কাছে তখন তথ্য ছিল না। এখনও পর্যন্ত যা তদন্ত, তাতে এরকম কোনও তথ্যপ্রমাণ আমরা পাইনি। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ অনেক জাগ্রত। এরকম অবস্থা নয় যে এত বড় ঘটনা ঘটে যাবে এবং সবাই ভয় পেয়ে মুখ বন্ধ করে থাকবে। ওখানে কোনও প্রমাণ পাচ্ছি না। আমরা আশেপাশের সিসিটিভিরও ফুটেজ খতিয়ে দেখেছি। সেখানেও কোনও প্রমাণ পাইনি। বুথের সিসিটিভি বিডিওর থেকে চাওয়া হয়েছে।’
সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাভেদ শামিমও। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফেও কোনও অভিযোগ আসেনি। কেন্দ্রীয় বাহিনীও নিজের মতো করে ইনটেলিজেন্স সংগ্রহ করছে। তারাও আমাদের কাছে কিছু জানাননি। আমরা ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার তদন্ত চালাচ্ছি এবং আগামী দিনেও চালাব।’ প্রসঙ্গত বিজেপির তরফে অভিযোগ, ৮ জুলাই পাঁচলাতে এক মহিলা প্রার্থীকে বুথের ভিতর হেনস্থা করা হয়। তাঁর পোশাক ছিঁড়ে দেওয়া হয়। তাঁকে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানি করা হয় তাঁর। এপ্রসঙ্গে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মণিপুর নিয়ে কথা বলছেন, কিন্তু বাংলাতেও মহিলাদের অবস্থা কোনও অংশে মণিপুরের থেকে কম নয়।