নিখোঁজ ছিলেন কলকাতার ভবানীপুরের এক ব্যবসায়ী। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। অবশেষে বুধবার পাওয়া গেল ওই ব্যবসায়ীকে। তবে মৃত অবস্থায়। উত্তর ২৪ পরগনার নিমতা এলাকায় একটি বাড়ির জলের ট্যাঙ্কের পাশে ব্যবসায়ীর দেহ বস্তাবন্দি করে পুঁতে রাখা হয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, তার উপর তুলে দেওয়া হয়েছিল পাঁচিল। পুলিশ সূত্রে খবর, যে বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে, তার মালিক মৃত ব্যবসায়ীর পরিচিত। তাঁরা একসঙ্গে ব্যবসা করতেন। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ মনে করছে, ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে এই খুন। ব্যবসায়ীকে নিমতায় ডেকে এনে মাথায় উইকেট দিয়ে বাড়ি মেরে খুন করা হয়। পরে জলের ট্যাঙ্কের নীচে দেহ ঢুকিয়ে রাখা হয়। ইতিমধ্যে অনির্বাণ গুপ্ত ও সুমন দাস নামে দু’জনকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ব্যবসায়ীর নাম ভবো লাখানি। ভবানীপুরের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে। তদন্তে নেমে নিমতার রবীন্দ্রপল্লিতে ভাবিয়ার ব্যবসায়িক সঙ্গীর বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে। একটি জলের ট্যাঙ্কের নীচে দেহ লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। তদন্তকারীদের একটি সূত্রে খবর, দেহ বস্তাবন্দি করে একটি জলের ট্যাঙ্কের নীচে রেখে দেওয়া হয়। পরে পাঁচিলও গেঁথে ফেলা হয় তার উপর। ইতিমধ্যে ওই ব্যবসায়িক সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে বালিগঞ্জ থানার পুলিশ।
মৃত ব্যবসায়ীর পরিবারের অভিযোগ, ভবোকে অপহরণ করে খুন করে হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত এক জন স্বীকার করেছেন, সংজ্ঞা হারিয়ে গেলে মৃত্যু নিশ্চিত করতেও একের পর এক আঘাত করা হয়। তাঁকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।