গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি। এমন অভিযোগ প্রায়ই তোলেন বিরোধীরা। তবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে তেমন পরিস্থিতি তৈরি হবে না। দলের নেতারাই দায়িত্ব নিয়ে প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়াবেন। শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার সভা থেকে এই ঘোষণা করলেন শুভেন্দু। একই সঙ্গে জানালেন, গণনাকেন্দ্র ‘সুরক্ষিত’ রাখার দায়িত্বও তাঁর। তবে দলীয় কর্মীদের দিলেন বুথ পাহারার গুরুদায়িত্ব। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে শুভেন্দুর এই বার্তা নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র তথা পূর্ব মেদিনীপুরে শাসক তৃণমূলের বিশেষ দায়িত্ব থাকা কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনে যেখানে সংগঠন লাগবে, হিম্মত থাকতে সেখানকার দায়িত্ব নিন।’’ পঞ্চায়েত ভোটে ৮০ শতাংশ বুথে বিজেপি এজেন্টই দিতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল।
শনিবার দুপুরে বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ইজমালিচক ফুটবল মাঠে জনসভা করেন শুভেন্দু। সেই সভা থেকেই ‘পঞ্চায়েত সাফ’ করার ডাক দেন বিরোধী দলনেতা। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে প্রশ্ন ছোড়েন, ‘‘পঞ্চায়েত সাফ হবে তো? গত বারেই তো সাফ হয়ে গিয়েছিল। বাকচায় সাফ হয়ে গিয়েছিল তো।’’ এর পরেই শুভেন্দু জানান, পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি-সহ দলের অন্যান্য বিধায়কেরা দু’টি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নেবেন। এক, দলের প্রার্থীরা যাতে সুষ্ঠু ভাবে মনোনয়ন জমা দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করা। দুই, গণনাকেন্দ্র যাতে সুরক্ষিত থাকে, সেটিও তাঁরা দেখবেন। তবে, বুথ রক্ষা করার কাজটি যে দলীয় কর্মীদেরই করতে হবে, তা সাফ জানিয়ে দেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, ‘‘গত বার নমিনেশন আটকেছিল। এ বার নমিনেশন হবে। আমরা নমিনেশন করিয়ে দেব। আমাদের বিধায়কেরা সঙ্গে থাকবেন। এঁদের সঙ্গে সেন্ট্রাল ফোর্স থাকবে। দুটোর দায়িত্ব নিচ্ছি। নমিনেশন করিয়ে দেব আর কাউন্টিং হল সুরক্ষিত রাখব। দাঁড়িয়ে থেকে নমিনেশন করিয়ে দেব। কিন্তু বুথটা আপনাদের সামলাতে হবে। বুথ পাহারার দায়িত্ব কিন্তু আপনাদেরই। পারবেন তো?’’
বিরোধী দলনেতার এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কুণাল বলেন, ‘‘শুভেন্দুর বিরুদ্ধে লড়ছে আদি বিজেপি। ৮০ শতাংশ বুথে বিজেপির এজেন্ট থাকবে না। একের পর এক আদি বিজেপি নেতারা দল ছাড়ছে। আগে বিজেপি সামলা, পরে ভাববি বাংলা।’’