বুথ কমিটি গড়তে এ বার ফোন করার আহ্বান জানাল বিজেপি। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সামাজিক মাধ্যমে তেমনই ‘বিজ্ঞাপন’ দিয়েছেন। যা নিয়ে তৃণমূলের কটাক্ষ, ‘রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা’।
দুয়ারে কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ থেকে সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডা— বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব রাজ্যে এসে নিচুতলায় সংগঠন তৈরিতে জোর দিচ্ছেন। সেখানে দলের সংগঠন সম্পাদকের এমন ‘বিজ্ঞাপনে’ রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, তবে কি ‘শূন্য’ নিচুতলার কানাঘুষো আদপে সত্যি?
দলের একাধিক বৈঠকে নেতারা আলোচনা করেছেন, কেন্দ্রীয় ভাবে কর্মসূচিতে ভিড় হলেও স্থানীয় ভাবে কর্মসূচি নেওয়া যাচ্ছে না। সূত্রের খবর, ঘরোয়া আলোচনায় নেতারা স্বীকার করেছেন নিচুতলায় সংগঠন না থাকার কারণেই এই হাল। সূত্রের খবর, একের পর এক ‘ডেডলাইন’ দেওয়া হলেও এখনও পর্যন্ত রাজ্যের অধিকাংশ জায়গাতেই বুথ কমিটি তৈরি হয়নি। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচনে ভাল ফল করতে হলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সংগঠনকে ‘পরীক্ষা’ করে নিতে হবে। সে জন্য চাই বুথে সংগঠন। তাই যে ভাবে হোক বুথ কমিটি গঠনে মরিয়া বিজেপি।
অবস্থা সুখকর নয় বুঝে এ বার আসরে নামলেন স্বয়ং সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন)। তিনি নিজেই সামাজিক মাধ্যমে বুথ কমিটি গঠনের জন্য ফোন নম্বর দিয়ে সাধারণ মানুষকে যোগাযোগের জন্য আহ্বান জানালেন।
রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, এর আগেও বিজেপি মিসড কলের মাধ্যমে দলের সদস্য সংগ্রহ করেছে। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের আগে হওয়া সেই ‘এক কোটি’ সদস্যের বর্তমানে আদৌ অস্তিত্ব রয়েছে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
এ বার সংগঠন তৈরি করতে এই পদ্ধতি নিলে আদৌ তা ফলপ্রসূ হবে তো?
রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “ফোন করে যে সংগঠন তৈরি হয় না তা এক জন রাজনৈতিক শিশুও জানেন, উনিও জানেন। এই আহ্বান মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য। বুথে সংগঠন তৈরির জন্য দলের নিজস্ব পদ্ধতি রয়েছে।”
যদিও এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, “বুথ কমিটি তৈরি করতে ফোন করতে বলছেন? কে ফোন করবেন? তিনি কে, কী বৃত্তান্ত? এই ভাবে সংগঠন হয়?’’ তাঁর কটাক্ষ, ‘‘বোঝাই যাচ্ছে নূন্যতম রাজনৈতিক পরিপক্বতা নেই।”