খাতায় কলমে ৭৫ বছর। কিন্তু বৃদ্ধার দাবি চার কুড়ি পেরিয়ে গিয়েছে। এই বয়সেও পঞ্চায়েত ভোটে লড়ছেন বিজেপি টিকিটে। অদম্য ইচ্ছা, মনের জোর ও মৃত স্বামীর আশীর্বাদ নিয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছেন কাঁকসার উমারানী মিশ্র। বিরোধী দলের কে দাঁড়াল সেই বিষয়টি পাত্তা না দিতেই চান না। জেতার ব্যাপারে প্রবল আশাবাদী বৃদ্ধা।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বোমা, গুলিতে মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজনের। কোথাও আবার বিরোধীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে দেওয়া হচ্ছে হুমকি। এইসবের অভিযোগ উঠছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। আর এই ভয়কে উপেক্ষা করেই পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসার আমলাজোড়া পঞ্চায়েতের ধোবাঘাটার বাসিন্দা বিজেপির প্রার্থী প্রায় ৭৫ বছরের পৌঢ়া উমারানী মিশ্র। বয়স হয়েছে তাতে কী? তিনি রাজনীতিটা ভালোই বোঝেন। বাম আমলেও নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন । তিনি আশাবাদী, স্বচ্ছ ভাবমূর্তি দেখেই তাকে ভোট দেবে এলাকার মানুষ।
তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারের হাতিয়ার কী হবে? উমারানির বক্তব্য, আমার মতো গরিব মানুষ অনেক রয়েছে। সরকারি প্রকল্প থেকে কীভাবে বঞ্চিত হচ্ছে তাদের মতো মানুষ। সেইসব বিষয়গুলিকে নিয়ে প্রচারে নামবেন। ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘরুই। উমারানি দেবী জানান, প্রতিরোধ করতে এলে লড়াই করতে তিনিও প্রস্তুত। মার খেতে এলে মার খেতে হবে। কেউ অবশ্য হুমিক দিচ্ছে না। তবে তার ছেলে বৌমারা ভয় পাচ্ছেন। ওদের কেউ হুমকি দিচ্ছে কিনা জানি না। আমার খড়ের চাল, বাড়ি ভেঙে গেছে, এই সরকারের কাছে কোনও সাহায্য পাইনি। এই বয়সে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ঝামেলার মধ্যে পড়তে হয় যদি। তাই পরিবারের কেউ মুখ খুলতে চাননি।
দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই বলেন, স্বচ্ছ ভাব মূর্তি দেখেই উমারাণী দেবীকে প্রার্থী করা হয়েছে। জয়ের বিষয়েও আশাবাদী। এলাকার বিজেপি সমর্থকদের বক্তব্য, এই বয়সে দাঁড়িয়ে মানুষের জন্য কিছু করার ইচ্ছাকে সমর্থন করব অবশ্যই। এলাকার তৃণমূলের প্রার্থী ইতু দাসের বক্তব্য, কে দাঁড়িয়েছে আমি। জানি না। আমি জিতব আশাবাদী। আর তৃণমূলের পক্ষ থেকে ওঁর পরিবারের কাউকে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানা নেই।