পঞ্চায়েত মামলায় হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানালেন শুভেন্দু অধিকারী। ‘আমাদের আরও প্রত্যাশা ছিল, সবকিছু তো পূরণ হয় না’, বললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
মনোনয়নের সময়সীমা বাড়ল না। তবে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতেই পঞ্চায়েত ভোট করানোর পক্ষেই রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ, ‘আপাতত স্পর্শকাতর জেলায় মোতায়েন করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাকি যে জেলাগুলিতে পর্যাপ্ত রাজ্য পুলিশ থাকবে না, সেই জেলাগুলিতেও মোতায়েন করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সব বুথে লাগাতে হবে সিসিটিভি, না হলে ডিভিয়োগ্রাফি করতে হবে’।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘ডিভিশন বেঞ্চে যে রায় দিয়েছেন, তাতে একশো শতাংশ বা আমাদের সবগুলি পয়েন্ট হয়তো বিবেচনা করতে পারেননি। কিন্তু কম-বেশি হিংসামুক্ত নির্বাচনে জন্য় তাদের মানসিকতা অর্ডারে প্রকাশ করেছেন’। তাঁর মতে, ‘ডিভিশন বেঞ্চের কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। আইনকে আর লঙ্খন করতে পারে না’!
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী চেয়েছিলেন, পঞ্চায়েত ভোটে অনলাইনে মনোনয়নের ব্য়বস্থা করা হোক। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে আদালত। অধীর বলেন, ‘অনলাইন ব্যাপারটি বিতর্কিত। অনলাইন হয় না কোথাও। বাকি যে দাবিগুলি ছিল আমাদের, কোর্ট কিন্তু মান্যতা দিয়েছে’।
আর মনোনয়নের সময়সীমা? অধীরের দাবি, ‘মনোনয়নের সময়সীমা বাড়ানোর চূড়ান্ত সম্ভাবনা আছে। কারণ, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল পার্টি নিজেই মনোনয়ন করাতে পারছে না। অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকট থেকে প্রকটতর হচ্ছে। তাদের নিজেদের সময় প্রয়োজন বলে আমার ধারনা’।
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের ঘোষণার পরেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে অধীর চৌধুরীও! স্রেফ মনোনয়নের সময়সীমা বাড়ানো নয়, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনেরও আর্জি জানানো হয়। সেই মামলার এদিন রায় ঘোষণা করল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।