জেলা ঘোষণা হওয়ার প্রথম পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশ নিতে চলেছে কালিম্পং। যদিওবা আগে জিটিএ নির্বাচন বা বিধানসভা নির্বাচনে অংশ নিয়েছে এই নতুন জেলা। তবে দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবি করলেও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী এবারও দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনই হবে পাহাড়ে। নির্বাচনকে কেন্দ্র সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দেন কালিম্পং জেলাশাসক। শনিবার কালিম্পং ট্রেজারি কনফারেন্স হলে বৈঠকে উপস্থিত থাকে বিজেপি, ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা, কংগ্রেস, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সহ হামরো পার্টি ও তৃণমূল। বৈঠকে নির্বাচনীয় নিয়ম নীতি নিয়ে বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিদের আলোচনা করেন কালিম্পং জেলাশাসক আর বিমলা।
জেলাশাসক আর বিমলা জানান, “রাজ্য নির্বাচন কমিশন থেকে যা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেই সব নিয়েই সব দলের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করা হয়েছে। কী করা যাবে আর কী করা যাবে না তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।ভোটারদের যাতে কোনও অসুবিধে না হয় সে বিষয়গুলো দেখা হবে৷ বিগত নির্বাচনগুলোতে কালিম্পং থেকে ভোট গ্রহণকেন্দ্রগুলিতে যেতে যথেষ্ট সময় লেগেছিল, তবে এবার ব্লক স্তরেই ডিসিআরসি করা হয়েছে। গরুবাথান সহ পেডং, লাভা, কালিম্পং-১, ৪ ব্লক স্তরের আধিকারিকরা পঞ্চায়েতে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে কাজ করবেন৷ সমস্ত কাজটাই ব্লক স্তর থেকে সংগঠিত হবে। বিগত দুটি নির্বাচনে কালিম্পংয়ের বেশ কিছু এলাকা দুর্গম থাকলেও এবার তা নেই। কাজেই কাজের অনেক সুবিধে হয়েছে। অন্যদিকে সব মিলিয়ে ৪২টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ২৬৩টি বুথ রয়েছে। তাদের মধ্যে একটি বুথও স্পর্শকাতর বা অতি স্পর্শকাতর নয়।” উল্লেখ্য বিগত নির্বাচনগুলোতে কালিম্পংয়ে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হিংসার ছবি উঠে এসেছিল। গাড়ি ভাঙচুর থেকে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র ঘিরে ফেলার মতন ঘটনাও ঘটেছে এই জেলাতে। এবার পঞ্চায়েত ভোটে কী হয় সেটাই দেখার।