‘কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই পঞ্চায়েত ভোট’। কলকাতা হাইকোর্টে রায়ে প্রতিক্রিয়া এড়িয়ে গেলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। বললেন, ‘কোর্ট-অর্ডার আমাদের হাতে আসেনি। আজ রাতে বা কাল সকালে পেয়ে যাব। আমরা খতিয়ে দেখব, তারপর মন্তব্য করব’।
জল্পনা বাড়ছিল ক্রমশই। দায়িত্ব নেওয়ার ১ দিন পরেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে দিন ঘোষণা করে দেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, ৮ জুলাই এক দফাতেই দার্জিলিং-কালিম্পংয়ে দ্বিস্তরীয় ও বাকি রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট হবে। স্রেফ মনোনয়ন নয়, রাজ্যে লাগু হয়ে গিয়েছে আদর্শ আচরণ বিধিও।
এদিকে পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হতেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে অধীর চৌধুরীও! মনোনয়নের সময়সীমা বাড়ানো ও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি জানান তাঁরা। সেই মামলায় এদিন রায় দিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ।
পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়নের সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়টি কমিশনেরই উপরই ছেড়েছে আদালত। তবে, হাইকোর্টের নির্দেশ,’কেন্দ্রীয় বাহিনী উপস্থিতিতে হবে নির্বাচন। আপাতত স্পর্শকাতর জেলায় মোতায়েন করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাকি যে জেলাগুলিতে পর্যাপ্ত রাজ্য পুলিশ থাকবে না, সেই জেলাগুলিতে মোতায়েন করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সব বুথে লাগাতে হবে সিসিটিভি, না হলে ডিভিয়োগ্রাফি করতে হবে’।
মনোনয়নের সময়সীমা কি বাড়ানো হবে? রাজ্য়ের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা বলেন, ‘এটা কোর্টের মধ্যে একটি ইস্যু ছিল। কোর্ট-অর্ডার দেখে তারপর তো বলব’। তাঁর আরও বক্তব্য, ‘আমাদের নির্বাচনে যে পদ্ধতি আছে, পোলিং বুথকে স্পর্শকাতর ঘোষণা করা হয়। সেটা ভোটের কিছুদিন আগে করা হয়। সেটা আমরা করছি’।