Pallavi Death Case: পল্লবীর জন্য কেনা সোনার হার ঐন্দ্রিলাকে পরিয়েছিল সাগ্নিক, ঝামেলাও হয়েছিল দু’জনের

যতই দিন এগোচ্ছে, পল্লবীর মৃত্যু-রহস্যে ততই জট পাকাচ্ছে। এই রহস্যমৃত্যুর কেন্দ্রে রয়েছে দুটি নাম সাগ্নিক চক্রবর্তী ও ঐন্দ্রিলা মুখোপাধ্যায়। অভিনেত্রীর মৃত্যুর জন্য দায়ি করে এই দুজনের নামেই গড়ফা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে পল্লবীর পরিবার। 

ঐন্দ্রিলার সঙ্গে গোপন সম্পর্ক ছিল সাগ্নিকের, সেই দাবি করেছে পল্লবীর পরিবার। যদিও ঐন্দ্রিলা মুখোপধ্যায় সেই দাবি নস্যাৎ করে সংবাদমাধ্যমের সামনে জানিয়েছেন সাগ্নিকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় পল্লবীর সূত্র ধরেই। তেমন ঘনিষ্ঠতা ছিল না। যদিও পল্লবীর বন্ধুদের দাবি মোটেই তেমনটা নয়!

ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে কখনও ঝগড়া হয়েছে পল্লবী আর সাগ্নিকের? এই প্রশ্নের জবাবে এক সাক্ষাৎকারে পল্লবীর অন্যতম ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রত্যুষা পাল জানান, ‘একবার আমার সামনেই হয়েছে’। কেন? জবাবে প্রত্যুষা জানান, পল্লবী-সাগ্নিক তাঁদের লিভ ইন-এর বর্ষপূর্তি সেলিব্রেট করতে বিরাট প্ল্যান করেছিল। সেইসময় পল্লবীর জন্য সোনার হার কিনতে গিয়েছিল সাগ্নিক, সঙ্গী ঐন্দ্রিলা। সেই হার ঐন্দ্রিলার গলায় পরিয়েও ছিল সে। এটাই নাকি মেনে নিতে পারেনি পল্লবী। সেই নিয়ে সাগ্নিকের উপর চড়াও হন অভিনেত্রী। তাঁর প্রশ্ন ছিল, হার কিনতে গেলে সে ভাবনা বা প্রত্যুষাকে সঙ্গে নিয়ে যেতে পারত, ঐন্দ্রিলা কেন? 

প্রত্যুষা একা নন, এই বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেতা সায়ক চক্রবর্তীও। পল্লবীর জন্য হার কিনে সেটা ঐন্দ্রিলার গলায় পরিয়ে সায়ককে ছবি পাঠিয়েছিলে সাগ্নিক। হারটা কেমন তা জানতে, সেই ছবিও প্রকাশ্যে এনেছেন সায়ক। 

যার দিকে এত অভিযোগের আঙুল সেই ঐন্দ্রিলা কী বলছেন? ঐন্দ্রিলা সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘এটা অনেক আগের ঘটনা। সায়ক বা বাকিরা যা দাবি করছে, সেই সোনার হারের ব্যাপারটা, পরদিন ওদের অ্যানিভার্সারি ছিল। আমিও আমন্ত্রিত ছিলাম, যেমন ভাবনা, প্রত্যুষা, সায়করা ছিল। কিন্তু আমি যেতে পারেনি (মূল সেলিব্রেশনে)। পল্লবীর কথাতেই আমি সাগ্নিকের সঙ্গে ওর গিফট কিনতে গিয়েছিলাম। পল্লবীর সময় ছিল না, তাই ও যেতে পারেনি। কিন্তু পল্লবী জানত আমি সাগ্নিকের সঙ্গে যাচ্ছি (সোনার হার কিনতে)’। 

বাওয়ালি রাজ বাড়িতে একত্রবাসের এই উদযাপন প্ল্যান করেছিল সাগ্নিক। এলাহি আয়োজন দেখে চোখ ধাঁধিয়ে যায় সায়কের। তিনি জানিয়েছেন, ‘তিনটি কটেজ ভাড়া করেছিল সাগ্নিক। সঙ্গে খানাপিনার এলাহি আয়োজন। এ ছাড়া, বড় কেক, কেকের ভিতরে দামি আংটি কিচ্ছু বাদ রাখেনি।’

পল্লবীর সাধপূরণের এতটাকা কোথা থেকে পেতেন সাগ্নিক, কল সেন্টারে কাজ করে ১৯ হাজার টাকা বেতন পাওয়া সাগ্নিক চক্রবর্তীর পক্ষে সত্যিই এত, লক্ষাধিক টাকার সোনার হার কেনা সম্ভবপর? প্রশ্নটা রয়েই যাচ্ছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.