বার্ষিক অমরনাথ যাত্রার মাঝেই বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) পাকিস্তানি ড্রোন লক্ষ্য করে গুলি চালায় শুক্রবার। সীমান্তরক্ষী বাহিনী দাবি করেছে যে তারা শুক্রবার গভীর রাতে জম্মু জেলার কানাচক এলাকায় ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্তে একটি পাকিস্তানি ড্রোনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। বিএসএফের একজন মুখপাত্র এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘শুক্রবার রাত প্রায় ৯টা ৪০ মিনিট নাগাদ বিএসএফ সৈন্যরা কানাচক এলাকায় পাকিস্তানের দিক থেকে একটি জ্বলন্ত আলোকে উড়ে আসতে দেখতে পায়। সতর্ক বিএসএফ সৈন্যরা সেই আলো লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এলাকায় তল্লাশি চলছে।’
এই ড্রোনগুলিকে জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কাজে লাগায় পাক সেনা এবং আইএসআই। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অর্থায়নের জন্য নগদ ও মাদক ছাড়াও মারাত্মক আইইডি এবং স্টিকি (চৌম্বকীয় বোমা) সহ অস্ত্র, গোলাবারুদ এই ড্রোনের মাধ্যমে পাচার করে পাকিস্তানি সেনা। এর আগে গত ১৬ জুলাই পুঞ্চে নিয়্ন্তরণরেখা বরাবর একটি পাক ড্রোনকে দেখতে পেয়ে গুলি চালিয়েছিল সেনাবাহিনী। পরে ড্রোনটি পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের দিকে উড়ে যায়।
এরপর ১৮ জুলাই পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মুকেশ সিং বলেছিলেন যে বিজেপির আইটি সেলের প্রাক্তন সংখ্যালঘু মোর্চা ইনচার্জ তালিব হুসেন শাহ সহ লস্কর-ই-তৈবার (এলইটি) সাত সন্ত্রাসবাদীকে গ্রেফতার করেছএ জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। জম্মু জুড়ে লস্করের তিনটি মডিউল ধ্বংস করেছে পুলিশ। এই মডিউলগুলি সফল ভাবে ১০ থেকে ১২ দফায় অস্ত্র পেয়েছিল পাকিস্তান থেকে। মনে করা হচ্ছে, অমরনাথ যাত্রায় হামলা চালাতেই এই ধরনের সন্ত্রাসী গতিবিধি চলছে সীমান্ত বরাবর এলাকায়।