বিশ্বকাপে এখনও টিকে থাকল পাকিস্তান। বেঙ্গালুরুতে নিউ জ়িল্যান্ডের ইনিংসের পর মনে হয়েছিল, শনিবারই বোধহয় বাবর আজ়মদের বিদায় নিতে হবে বিশ্বকাপ থেকে। কিন্তু ব্যাট হাতে ফখর জমান ও তার পরে বৃষ্টি বাঁচিয়ে দিল তাঁদের। ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে নিউ জ়িল্যান্ডকে হারাল পাকিস্তান। এই হারের ফলে নিজেদের সেমিফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা কঠিন করে ফেললেন কেন উইলিয়ামসনেরা।
বেঙ্গালুরুতে বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় টসে জিতে প্রথমে বল নিয়েছিলেন পাক অধিনায়ক বাবর। কিন্তু প্রথম থেকেই দ্রুত রান তুলছিল নিউ জ়িল্যান্ড। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দলে ফেরেন অধিনায়ক উইলিয়ামসন। ফলে উইল ইয়ংয়ের জায়গায় এই ম্যাচে ওপেন করতে নামেন রাচিন রবীন্দ্র। আরও এক বার নিজের প্রতিভা চেনালেন রাচিন। কনওয়ে ৩৫ রানে আউট হওয়ার পরে উইলিয়ামসনের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তিনি। এই জুটিই দলকে বড় রানের পথে নিয়ে যায়।
চলতি বিশ্বকাপে নিজের তৃতীয় শতরান করেন রাচিন। নিউ জ়িল্যান্ডের হয়ে চলতি প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ রান তাঁরই। চোট সারিয়ে নেমে ভাল দেখাচ্ছিল উইলিয়ামসনকেও। সাবলীল ব্যাট করছিলেন তিনি। মাত্র ৫ রানের জন্য শতরান হাতছাড়া হয় উইলিয়ামসনের। রাচিন ১০৮ রান করে আউট হন।
নিউ জ়িল্যান্ডের পরের দিকের ব্যাটারেরা রান তোলার গতি কমতে দেননি। মার্ক চ্যাপম্যান ২৭ বলে ৩৯ ও গ্লেন ফিলিপ্স ২৫ বলে ৪১ রান করেন। ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪০১ রানে শেষ করে নিউ জ়িল্যান্ড।
বিশ্বকাপে টিকে থাকতে হলে শুরুটা খুব ভাল করতে হত পাকিস্তানকে। কিন্তু আবদুল্লা শফিক ৪ রানে ফেরেন। তার পরে বিধ্বংসী ব্যাটিং শুরু করেন ফখর। তাঁকে সঙ্গ দেন অধিনায়ক বাবর। ফখর পাওয়ার প্লে ব্যবহার করে বড় শট খেলছিলেন। কোনও বোলারকে রেয়াত করেননি তিনি।
ফখরের ব্যাটিং দেখে বোঝা যাচ্ছিল, এত দিন সুযোগ না পেয়ে কতটা খিদে রয়েছে তাঁর মধ্যে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যেখান থেকে শেষ করেছিলেন সেখান থেকেই শুরু করেন তিনি। মাত্র ৬৩ বলে শতরান করেন ফখর। পাকিস্তানের হয়ে বিশ্বকাপে এটি দ্রুততম শতরান। বাবর অন্য দিকে ধরে খেলছিলেন। উইকেট যাতে না পড়ে সে দিকে নজর ছিল তাঁর। মাঝে এক বার বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়। তখন ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে ১০ রানে এগিয়ে ছিল পাকিস্তান। পরে খেলা শুরু হলে আবার আক্রমণাত্মক ক্রিকেট শুরু করে পাকিস্তান। ২৫.৩ ওভারে পাকিস্তানের যখন ২০০ রান তখন আবার বৃষ্টি শুরু হয়। আর খেলা শুরু করা যায়নি। তখন ২১ রানে এগিয়ে ছিল পাকিস্তান। সেই রানেই জেতে তারা। ফখর ১২৬ ও বাবর ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
এই হারের ফলে কিছুটা চাপে পড়ে গেল নিউ জ়িল্যান্ড। পর পর চারটি ম্যাচ হারল তারা। ফলে তাদেরও শেষ চারে যাওয়ার লড়াই কঠিন হয়ে গেল।