জাফর এক্সপ্রেসের পণবন্দিদের মধ্যে ৫০ জনকে খুন করা হয়েছে বলে জানিয়ে দিল বালোচিস্তানের সশস্ত্র গোষ্ঠী বিএলএ (বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি)। তাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকার আলোচনার পথে না হেঁটে পণবন্দিদের মুক্ত করতে সেনা পাঠানোর কারণেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে বালোচিস্তানের রাজধানী কোয়েটা থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারগামী ট্রেনটি কব্জায় আনার পরেই দায় স্বীকার করেছিল বিএলএ। বালোচিস্তান থেকে পাকিস্তান এবং চিনকে হাত গোটানোর শর্ত দেওয়ার পাশাপাশি বালোচ রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির শর্ত দিয়েছিল তারা। দাবি পূরণের জন্য দেওয়া হয়েছিল ৪৮ ঘণ্টার চূড়ান্ত সময়সীমা।
বুধবার রাতে বিএলের তরফে ইসলামাবাদকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই সময়সীমার মধ্যে আর ২০ ঘণ্টা অবশিষ্ট রয়েছে। এর পর বাকি পণবন্দিদেরও নির্মম পরিণতি অপেক্ষা করছে বলে জানিয়ে দিয়েছে স্বাধীনতাপন্থী বালোচ সংগঠনটি। মঙ্গলবার বিকেলে হামলার সময় ট্রেনে সাড়ে ৪০০-র বেশি যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রায় ২০০ জনকে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে বলে পাক সরকারের দাবি। অন্য দিকে, পাক সেনার তরফে বুধবার বিকেলে তখনও পর্যন্ত আটক ২০০ পণবন্দির একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
অপহৃত ট্রেনে কমান্ডো অভিযান দেখে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, পণবন্দি রেলযাত্রীদের প্রাণের আশা কার্যত ছেড়েই দিয়েছে পাক সরকার। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স প্রকাশিত একটি খবরে দাবি করা হয়েছে, ইতিমধ্যেই কোয়েটা স্টেশনে মজুত করা হয়েছে প্রায় ২০০টি কফিন! এখনও পর্যন্ত মুক্তি পাওয়া যে রেলযাত্রীরা সামনে এসেছেন, মহিলা ও শিশু বাদে তাঁদের প্রায় সকলেই বালোচ জনগোষ্ঠীর। তাঁদের কয়েক জন জানিয়েছেন, পরিচয়পত্র দেখে, জাতিগত পরিচয় সম্পর্কে নিঃসংশয় হয়েই তাঁদের মুক্তি দিয়েছেন বিএলএ যোদ্ধারা। যাঁদের মূল নিশানা পাক পঞ্জাবী আধিপত্যবাদ! যাঁরা এখনও আটক রয়েছে তাঁদের অধিকাংশই পঞ্জাবী।