বাড়ি তৈরি করার জন্য জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে নকশার অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল। কয়েকমাস কাজ চলার পর নির্মীয়মাণ বাড়ির সামনে দেখা গেল নার্সিংহোম নামে একটি বোর্ড। নার্সিংহোমের বোর্ড দেখে হতবাক এলাকাবাসী থেকে শুরু করে গ্রাম পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিরা।
এদিকে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় নার্সিংহোম তৈরি করা কিংবা নার্সিংহোম চালানোর জন্য কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। তাহলে কিভাবে সেখানে নার্সিংহোমের নামে বোর্ড টাঙানো হল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। অভিযোগ উঠেছে, জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে অন্ধকারে রেখে নার্সিংহোম করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরের দাবি, বাড়ি তৈরি করার জন্য কয়েকমাস আগে অনুমোদন দেওয়া হয় গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে। সেই জায়গা কমার্শিয়াল হিসেবে ব্যবহার করা হলে আলাদা করে বিল্ডিং তৈরির নকশার অনুমোদন নিতে হয়। একাধিক নিয়ম মানতে হয় কমার্শিয়াল বিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রে। সেই সব নিয়মের তোয়াক্কা না করেই বিল্ডিং করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ওই বিল্ডিংয়ের মালিক পক্ষকে শোকজ করে উত্তর চাওয়া হয়েছে বলে জানালেন পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অনিতা রাউত। তিনি বলেন, “বেআইনি
কাজ বরদাস্ত করা হবে না। কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মহকুমাশাসক তমোজিৎ চক্রবর্তী বলেন, “অনুমতি ছাড়া কেউই নার্সিংহোম করতে পারবে না। আমি এখনও কোনো তথ্য পাইনি। তবে কেউ যদি এমনটা করে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”