বছরের শেষ দিনেও শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে বিশাল ভিড় হল। ২৫ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত, গত এক সপ্তাহে উপচে পড়া ভিড় হয়েছে পার্কে। শুধুমাত্র ২৫ ডিসেম্বর ৬ হাজার ১৮ জন সাফারি পার্কে বেড়াতে এসেছিলেন। সে দিন আয় হয় ১০ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা। যা এক দিনের সর্বকালীন রেকর্ড বলে জানিয়েছেন পার্ক কর্তৃপক্ষ।
গত ২৫ ডিসেম্বরের পর থেকে এক দিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকলেও তা বাতিল করে পার্ক খোলা রাখা হয়েছিল। প্রতি দিন গড়ে দুই থেকে আড়াই হাজারের কাছাকাছি মানুষ সাফারি পার্কে এসেছেন। তাই এনক্লোজারে রাখা হয়েছিল সাদা বাঘটিকে। বড়দিন, নববর্ষের ছুটি পড়ে গিয়েছে প্রতিটি স্কুলে। তাই শিশুদের নিয়ে শহর-সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে সাফারি পার্কে ভিড় করছেন মানুষ। শুধু তাই নয়, ভিন্রাজ্য এবং বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যাও ছিল চোখে পড়ার মত। দর্শক সংখ্যা বেড়েছে দেখে সাফারি বাসের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। আগে ১৪টা বাস চললেও এখন ২১টি বাস চালানো হচ্ছে। তবে এ সবরে পরেও যে রেকর্ড হবে ভাবেননি পার্ক কর্তৃপক্ষ। তাঁদের রেকর্ড অনুযায়ী, এর আগে এক দিনে সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৭০০জন লোক এসেছিলেন।
মঙ্গলবারও পর্যটকদের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। সাফারি পার্কে ঘুরতে এসে রায়গঞ্জের বাসিন্দা সুব্রত কর বলেন, ‘‘প্রথমবার এলাম। দারুণ লেগেছে। সময় পেলে আবার আসব।’’ শিলিগুড়ির বাসিন্দা শ্যামল হালদার বলেন, ‘‘আমি যখনই সুযোগ পাই, পরিবার নিয়ে চলে আসি। আমাদের সকলের পছন্দের বেড়ানোর জায়গা এটা। খুবই ভাল লাগে।’’ সুদূর ইনদওর থেকে আসা অঙ্কিতা চৌধুরীর মন্তব্য, ‘‘বেঙ্গল সাফারি পার্কের কথা অনেক শুনেছি। আজ দেখলাম। খুব মজা করেছি।’’
সাফারি পার্কের ডিরেক্টর ই বিজয় কুমার বলেন, ‘‘২৫ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকদের সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছে। অন্যান্য বছরের সঙ্গে তুলনা করলে রেকর্ড আয় করতে পেরেছি আমরা। ডিসেম্বরের শেষে এবং মার্চ-এপ্রিল নাগাদ আমাদের ‘পিক টাইম’। তবে আমরা আমাদের কর্মীদের নিয়ে তৎপর রয়েছি। সব কর্মী কাজে রয়েছেন।’’ ভিড় দেখে তাঁর মন্তব্য, ‘‘গাড়ির সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে। জানুয়ারিতে আরও ভিড় বাড়বে বলে আশা করছি।’’