গাড়ির ভুয়ো শোরুম খুলে ঋণ নেওয়ার নাম করে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের তিনটি শাখা থেকে ১ কোটি ৭৮ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় সাত জনকে গ্রেফতার করেছেন কলকাতা পুলিশের ব্যাঙ্ক প্রতারণা দমন শাখার গোয়েন্দারা। মঙ্গলবার শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের ধরা হয়। ধৃতদের নাম সুজয় মিস্ত্রি, আবিরকুমার মজুমদার, সৌমিক মল্লিক, খুরশিদ আলম, সৌম্যদীপ কোনার, শান্তি ঝা এবং অরিজিৎ বসু। তাদের বুধবার আদালতে তোলা হলে বিচারক ৩০ মে পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত দেন। পুলিশের অনুমান, চক্রটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের কর্মীদের একাংশের যোগ থাকতে পারে।
পুলিশি সূত্রের খবর, চলতি মাসে ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের তরফে হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগে জানানো হয়, তাদের ভবানীপুর, সার্কুলার রোড এবং হাতিবাগান— এই তিনটি শাখা থেকে গত বছর আঠারোটি গাড়ির জন্য ১ কোটি ৭৮ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে দেখা যায়, নির্দিষ্ট সময়ে ঋণের কিস্তি জমা পড়ছে না। এর পরেই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ একটি নিজস্ব দল তৈরি করে তদন্তে নামেন। তাতেই উঠে আসে, ঋণ নেওয়ার জন্য যে গাড়ির ডিলারের কথা বলা হয়েছিল, সেটি আসলে ভুয়ো!
তদন্তে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, এই প্রতারণার মূলে আছে একটি চক্র। চক্রের মাথা আবির। তার নির্দেশে ভুয়ো নামে (বেঙ্গল মোটর) অ্যাকাউন্ট খুলেছিল সুজয়। সেখানে ঋণের কিস্তি জমা পড়ছিল।এক পুলিশ অফিসার জানান, ওই অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার পরে তা পাঠিয়ে দেওয়া হত সৌমিকের অ্যাকাউন্টে। এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে সুজয় ও সৌমিককে সাহায্য করেছিল খুরশিদ এবং সৌম্যদীপ। অন্য দিকে, ধৃত শান্তি এবং অরিজিতের নামে ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছিল। তারা নিজেদের গাড়ির ক্রেতা বলে পরিচয় দিয়েছিল।