স্কুল-কলেজে ভর্তি, চাকরি পেনশন, ভোট দেওয়া, বিয়ে, এই সমস্ত কাজই হবে একটা মাত্র সার্টিফিকেটের বিনিময়ে। আধার, প্যান বা পাসপোর্ট নয় বার্থ সার্টিফিকেট দিলেই এইসব কাজ হয়ে যাবে। শুনতে অবাক লাগলেও বাস্তবে এটাই হতে চলেছে।
মোদী সরকার লোকসভায় একটি বিল এনেছে। সেই বিলটি পাস হয়ে গেলে বয়সের প্রমাণপত্র থেকে নাগরিকত্বের পরিচয় সব কিছুর জন্য একটিই নথি লাগবে, আর সেটা হল বার্থ সার্টিফিকেট। বার্থ সার্টিফিকেট নথি হিসেবে ব্যবহার করার জন্য বুধবার লোকসভায় একটি বিল পেশ করা হয়।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই “জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিল ২০২৩” লোকসভায় পেশ করেন। এই বিলে মূলত জন্ম, মৃত্যু নিবন্ধন আইন সংশোধনের কথা বলা হয়েছে। শিক্ষার প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হোক বা কেন্দ্রীয় রাজ্য সরকারের চাকরি, ভোটার তালিকা, বিয়ের রেজিস্ট্রি- সবক্ষেত্রে নথি হিসেবে বার্থ সার্টিফিকেটকে মান্য করার কথা বলা হয়েছে।
এছাড়াও জন্ম ও মৃত্যুর ডিজিটাল ডেটাবেস তৈরীর কথাও বলা হয়েছে। নিবন্ধন বিল ২০২৩ পেশ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ১৯৬৯ সংশোধন করা হয়নি। এবার তারই চেষ্টা হচ্ছে।
এই বিলটি আইনে পরিণত হলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের প্রক্রিয়া আরো সহজ হবে। জন্ম বা মৃত্যুর সাত দিনের মধ্যেই সেটা ডিজিটাল ডেটাবেসে নথিভুক্ত হয়ে যাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
যদিও ওই বিলের বিরোধিতা করেছেন কংগ্রেস সাংসদ মনীষ তিওয়ারি। তাঁর কথায় এই বিলের ফলে গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘিত হবে।