এক বছর পেরিয়েও পরিস্থিতি যে কে সেই। অবস্থা বিশেষ পাল্টায়নি লাদাখে। কখনও সেনা কাছাকাছি এসে দুই দেশের। তো কখনো পিছিয়ে যায়। সব মিলিয়ে জটিল পরিস্থিতি থেকে সরছে না চিন ভারতের লাদাখ নিয়ে সমস্যা।
২০২০ সালের মে মাস থেকে শুরু। ভারতীয় জওয়ানদের উপর লাঠি ও পাথর নিয়ে হামলা চালিয়েছিল চিনা সেনা। জুন মাসে আবার দুই দেশের সংঘর্ষ হয়। লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনের সঙ্গে ভারতীয় সেনাদের সংঘর্ষ হয়। সংঘাতে শহিদ হয়েছিলেন ভারতের ২০ জওয়ান। প্রত্যাঘাতে করেছিল ভারতও। বহু চিনা সেনা নিহত হয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল বেজিং সূত্রে। তখন মৃত সৈনিকদের নাম না প্রকাশ করলেও। এই বছরে জানুয়ারিতে নিজেদের মৃত সেনাদের নাম প্রকাশ করে চিন।
মূল সমস্যা কোথায়? সমস্যা ভারতের নিয়ন্ত্রণরেখা লাগোয়া এলাকায় রাস্তা নির্মাণ। লে থেকে শুরু হয়েছে সেই রাস্তা। গিয়েছে দৌলত বেগ ওল্ডি বায়ুসেনা ঘাঁট পর্যন্ত। মাঝে দারবুক, শাইয়োক হয়ে ওই রাস্তা নির্মাণ করছে ভারত। কারাকোরাম হিমবাহের কাছে সিয়াচেন হিমবাহ পর্যন্ত ওই রাস্তা এগিয়েছে বলে জানা যায়। এই রাস্তা ছুঁয়েছে গালওয়ান উপত্যকাকেও। এটা নিয়েই চিনের মূল আপত্তি।
২০২০ সালের একদম শুরুর দিকের কথা। পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা, নাথু লা, প্যাংগং লেকের উত্তরে ভারত চিন সীমান্ত আছে। সেই নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতীয় এলাকায় বেশ কয়েক কিলোমিটার অনুপ্রবেশ করেছিল চিনা সেনা। সেই সময় তারা রীতিমতো তাঁবু খাটিয়ে তারা থাকতে শুরু করেছিল বলে জানা গিয়েছিল। সেই সময় থেকেই সমস্যা শুরু। পাল্টা রাস্তা বানায় ভারত। সমস্যা আরও বেড়ে যায়। ৫ মে, প্যাংগং হ্রদের কাছে ভারতীয় ও চিনা সেনার।একচোট ধস্তাধস্তিও হয়। কয়েকটি অঞ্চলে বিচ্ছিন্ন ভাবে দুই।দেশের সেনার সম্মুখ সমর হয়। অনেক এলাকায় মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ছিল ভারত চিন সেনা। তারপরে সময় অন্তর উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি।
ঘটনা হল গালোয়ানের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ভারত-চিন সীমান্ত নিয়ে বেশ কয়েকবার বৈঠকে করেছে। সামরিক স্তরে বৈঠকে বসেছে দুই দেশ। কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা হয়। কিন্তু এক বছর পেরিয়ে গেলেও শান্তি ফেরেনি সেখানে।