“ওয়ান টু জিরো ফোর, মোদী ওয়ানস্ মোর,” স্লোগান দিয়ে উত্তরবঙ্গ চষছেন সুকান্ত, রাহুল গান্ধীকে ন্যায়ের বদলে বুদ্ধি বাড়াও যাত্রা করার পরামর্শ

ওয়ান টু জিরো ফোর, মোদী ওয়ানস্ মোর,” এই স্লোগানকে সামনে রেখেই উত্তরবঙ্গ সফরে একের পর এক জেলা চষে বেড়াচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। একই সঙ্গে বিরোধীদের কটাক্ষ করার কোনো সুযোগ হাতছাড়া করছেন না তিনি। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর আগামী কর্মসূচি নিয়ে কটাক্ষ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ন্যায়যাত্রা নয়, বুদ্ধি বাড়াও যাত্রা করা উচিত।

শিলিগুড়িতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, রাহুল গান্ধীর ন্যায়যাত্রা নয়, তার উচিত বুদ্ধি বাড়াও যাত্রা করার। তাঁর আরো দাবি, বাংলায় এই যাত্রা করে কোনও লাভ হবে না। কারণ রাহুল এখনো পর্যন্ত রাজনীতিটাই ভালো করে বুঝে উঠতে পারেননি।

ফেব্রুয়ারি মাসে ন্যায়যাত্রা কর্মসূচিতে শিলিগুড়িতে আসতে পারেন রাহুল গান্ধী। দার্জিলিং জেলার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় এই যাত্রার করার কথা রয়েছে রাহুলের। সেই প্রসঙ্গ টেনেই সুকান্ত বলেন, “এখানে আসবেন , দার্জিলিঙে ভালো মোমো থুপপা পাওয়া যায়। আসবেন ঘুরবেন খাবেন, এই যাত্রা করে কোন লাভ হবে না।”

পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “বিজেপি স্লোগান ভিত্তিক দল নয়। বিজেপি নীতি আদর্শের দল। আমরা মোদীজিকে আবার প্রধানমন্ত্রী বানাতে চাই। গোটা দেশ চায়। ওয়ান টু জিরো ফোর, মোদী ওয়ানস মোর। আর তৃণমূল কংগ্রেস স্লোগান ভিত্তিক দল। মা মাটি মানুষের বাইরে কোনও নীতি, নেই আদর্শ নেই। কামাও, খাও দাও, মজা করো।”

অন্যদিকে, লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে আসন সংখ্যা বেঁধে দেওয়ার বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, কেন্দ্রের তরফে এমন কোনও সংখ্যা বেঁধে দেওয়া হয়নি। তবে এত সংখ্যক আসনের জয় পেতে বলা হয়েছে, যাতে মোদীজি বলতে পারেন যে, আমি পশ্চিমবঙ্গের জন্যই প্রধানমন্ত্রী হয়েছি।

অন্যদিকে, কালীঘাটের কাকু সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহের বিষয় সুকান্তবাবু বলেন, এবার কালীঘাটের কাকুর ভোকাল কর্ড ধরে রাস্তা কোন দিকে গেছে সেটা বোঝা যাবে। নিশ্চয়ই ওখানে কোনও গুপ্তধন আছে। সেই গুপ্তধনকে লুকানোর চেষ্টা চলছে এতদিন ধরে। সেই গুপ্তধন এবার সবার সামনে আসবে, মুক্ত হবে। কালীঘাটে কাকু যদি মুখ খুলে দেন তাহলে যেই বসের কথা তিনি বলেছিলেন, সেই বসের কাছে তদন্তকারী সংস্থা পৌঁছে যাবে।

একই সঙ্গে, তৃণমূলের অন্দরে আদি ও নব্যে সংঘাত প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন, পুরনোদের অবসরে পাঠাতে। সেজন্যই ভাতার ঘোষণা করেছেন। কিন্তু এতে প্রবীণরা রাজি হচ্ছে না, তাই অনেকেই বিদ্রোহ করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.