জানা গিয়েছে তালিবানি নেতৃত্বের সঙ্গে পৃথক ভাবে দেখা করেছে জইশ জঙ্গি সংগঠনের কমান্ডর এবং চিনা রাষ্ট্রদূত। চিন আগেই জানিয়েছিল যে তারা তালিবানের সঙ্গে ভালো বন্দুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে চায়। এই আবহে আফগানিস্তানে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত ওয়াং ইউ কান্দাহারে গিয়ে তালিবানি নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করে। বর্তমা মোল্লা বেরাদর এবং মোল্লা ইয়াকুব, দুই জনেই কান্দাহারে আছে।
এর আগে চিনা রাষ্ট্রদূত বুধবার পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করে আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। এদিকে শুক্রবার মোল্লা বেরাদরের সঙ্গে দেখা করে চিনা রাষ্ট্রদূত জানিয়েছে যে আফগানিস্তানকে ইসলামি দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে বেজিং সাহায্য করতে চায়। মূলত বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে আফগানিস্তানকে যুক্ত করতে চায় চিন। এর মাধ্যমে তাহলে সরাসরি মধ্য এশিয়ায় পৌঁছে যাবে চিন।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এদিকে তালিবান যতই দাবি করুক যে তাদের সঙ্গে জঙ্গি যোগ নেই, গোয়েন্দা রিপোর্টে স্পষ্ট ছিল যে পাক মদতপুষ্ট লস্কর এবং জইশ জঙ্গিরা তালিবানের পাশে থেকেই লড়েছে। হক্কানি জঙ্গি গোষ্ঠী তো সরাসরি তালিবানের সঙ্গে সরকার গঠনের তোড়জোর করছে। এই পরিস্থিতিতে জইশ কমান্ডর মুফতি আবদুল রউফ আজহার দেখা করে তালিবানি নেতা মোল্লা ইয়াকুবের সঙ্গে। ১৯৯৯ সালে আইসি-৮১৪ বিমান অপহরণ করে কান্দাহারে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তালিবানি শাসকরা সাহায্য করেছিল পাক জঙ্গিদের। বর্তমানে তালিবান যতই বলুক তাদের সঙ্গে জঙ্গি যোগ নেই। এই বৈঠকে স্পষ্ট যে পাক জঙ্গির সঙ্গে কালিবানি সম্পর্ক বজায় রয়েছে।