বিমানে বোমা হামলা হুমকি যেন থামছেই না। প্রায় প্রতি দিনই কোনও না কোনও বিমানসংস্থার কাছে পৌঁছে যাচ্ছে হুমকি বার্তা। মঙ্গলবার নতুন করে এয়ার ইন্ডিয়ার ৩২টি বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়াল।
গত কয়েক সপ্তাহে ধারাবাহিক ভাবে একাধিক ভারতীয় বিমান সংস্থার কাছে বোমা হামলার হুমকি পাঠানো হচ্ছে। অন্তর্দেশীয় বিমান তো বটেই, আন্তর্জাতিক বিমানেও ছড়াচ্ছে বোমাতঙ্ক। সোমবারই কলকাতা বিমানবন্দরে আসা-যাওয়ার অন্তত সাতটি বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছিল। যদিও পরে দেখা যায়, সবগুলি বিমানেই বোমা রাখার তথ্য ভুয়ো।
একের পর এক বিমানে বোমাতঙ্কের ঘটনায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। নরেন্দ্র মোদী সরকারের তরফে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। কারা এই ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে, তাঁদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সমাজমাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে বোমাতঙ্ক। সেই দিকে নজর রেখে এক্স (সাবেক টুইটার), মেটার মতো সমাজমাধ্যমকে আরও সতর্ক হওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনআইএ) তৎপরতায় গোটা দেশের বিমানবন্দরগুলিতে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে।
এই নিয়ে গত ১৫ দিনে দেশব্যাপী ৪০০টিরও বেশি বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়াল। অন্তর্দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় ধরনের বিমান পরিষেবার ক্ষেত্রেই বোমা রাখার ভুয়ো খবর ছড়িয়েছে। যার জেরে সম্প্রতি একাধিক উড়ান পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে। কোনওটি দেরিতে রওনা দিয়েছে। কোনওটির যাত্রাপথ বদল করে অন্য কোথাও জরুরি অবতরণ করাতে হয়েছে। ভুয়ো খবর ছড়ানোর ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের ভাবনা চিন্তাও করছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী কে রামমোহন নায়ডু গত সপ্তাহে জানিয়েছেন, বোমা রাখার ভুয়ো তথ্য ছড়ানোয় জড়িতদের বিমানে ওঠা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। অসামরিক বিমান পরিবহণ সংক্রান্ত দু’টি আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনারও ভাবনাচিন্তা চলছে কেন্দ্রের।