শেষ পর্যন্ত আবার বাদল অধিবেশনেই লোকসভায় অনাস্থা বিতর্কে অংশ নিতে দেখা যাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। ঠিক পাঁচ বছরের ব্যবধানে। গত ২৬ জুলাই বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র তরফে মোদীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে নোটিস জমা দিয়েছিলেন সাংসদ গৌরব গগৈ। সেই সঙ্গে তেলঙ্গানার শাসকদল বিআরএসের হয়ে পৃথক ভাবে অনাস্থা প্রস্তাবের নোটিস জমা দিয়েছিল সাংসদ নামা নাগেশ্বর রাও। মঙ্গলবার লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা জানালেন, সেই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আগামী ৮ অগস্ট আলোচনা হবে সংসদে। ১০ অগস্ট অনাস্থা প্রস্তাবের জবাবি বক্তৃতা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার দিল্লির আমলাদের রাশ হাতে রাখার বিল লোকসভায় পেশ করেছে মোদী সরকার। আড়াই মাস আগে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে পাশ কাটিয়ে দিল্লির প্রশাসনিক ক্ষমতার রাশ হাতে রাখার জন্য কেন্দ্র যে অর্ডিন্যান্স (অধ্যাদেশ) জারি করেছিল, এ বার সংসদের বাদল অধিবেশনে তা পাশ করিয়ে পুরোদস্তুর আইনের চেহারা দেওয়ার চেষ্টা শুরু হল। মোদী সরকারের ওই বিতর্কিত অর্ডিন্যান্স সংক্রান্ত মামলা সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে বিচারাধীন। শীর্ষ আদালত গত মাসে জানিয়েছে, অর্ডিন্যান্সের সাংবিধানিক বৈধতা খতিয়ে দেখা হবে। সেই সঙ্গে যাচাই করা হবে, এ বিষয়ে সংসদের অধিকারের সীমাও। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র লোকসভায় বিল পেশ করায় মণিপুরকাণ্ডের জেরে উত্তপ্ত বাদল অধিবেশনে নতুন করে অশান্তি ছড়াতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
প্রধানমন্ত্রী মোদী অবশ্য মঙ্গলবার সংসদে ছিলেন না। পুণেতে একটি অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তাঁর মঞ্চে হাজির ছিলেন শরদ পওয়ার। দলের একাংশ এবং ‘ইন্ডিয়া’র শরিকদের আর্জি উপেক্ষা করেই মঞ্চে হাজির হয়ে মোদীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।
বিরোধী দলগুলির অবশ্য বক্তব্য, মণিপুর নিয়ে সরকারের ‘নীরবতা’ ভাঙাতেই তারা সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে। কারণ, গত ২০ জুলাই বাদল অধিবেশনের সূচনা থেকে মণিপুরের গোষ্ঠীহিংসা নিয়ে বিরোধীরা ধারাবাহিক ভাবে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করলেও তাতে সাড়া মেলেনি। গত ১০ দিন ধরে ‘ইন্ডিয়া’র সাংসদদের দফায় দফায় বিক্ষোভের কারণে বার বার মুলতুবি হয়ে গিয়েছে লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধিবেশন। বস্তুত, মঙ্গলবারও সংসদের দু’কক্ষ সাক্ষী হয়েছে এমনই অচলাবস্থার।
মণিপুর নিয়ে অবশ্য মোদী সরকারের উপর মঙ্গলবার চাপ আরও বৃদ্ধি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেপি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ সোমবার সরকারপক্ষের আইনজীবীর পশ্চিমবঙ্গে হিংসার অভিযোগ সংক্রান্ত মন্তব্য খারিজ করে বলেছিল, ‘‘অন্য রাজ্যের ঘটনার সঙ্গে মণিপুরের পরিস্থিতি এক করে দেখা যায় না।’’ মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত বলেছে, গত তিন মাসের গোষ্ঠীহিংসার ঘটনাগুলি নিয়ে মণিপুর পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া ‘গয়ংগচ্ছ এবং ‘অলসতায় ভরা’।
প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ মঙ্গলবার স্পষ্ট ভাষায় বলেছে, ‘‘মণিপুর পুলিশ পরিস্থিতির উপর নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি হারিয়েছে।’’ গত তিন মাসের হিংসায় রাজ্য জুড়ে ৬,০০০-এর বেশি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। খুন হয়েছেন দেড়শোর বেশি মানুষ। ঘরছাড়ার সংখ্যা ৬০ হাজারের উপর। তবুও গ্রেফতারির সংখ্যা ‘অত্যন্ত কম’ হওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেছে শীর্ষ আদালত। এ বিষয়ে জবাবদিহি করার জন্য উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হিংসাদীর্ণ ওই রাজ্যের পুলিশ মহানির্দেশক (ডিজি)-কে তলব করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির নির্দেশ, সোমবার দুপুর ২টোর মধ্যে সশরীরে হাজির হতে হবে মণিপুর পুলিশের ডিজিকে। এরই মধ্যে বুধবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের নেতৃত্বে ‘ইন্ডিয়া’র প্রতিনিধিদল মণিপুর নিয়ে অভিযোগ জানাতে যাচ্ছে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে।
অনাস্থা-আলোচনার দিন ঘোষণা
সংসদীয় বিধি অনুযায়ী লোকসভার স্পিকার অনাস্থা প্রস্তাবের নোটিস গ্রহণ করার ১০ দিনের মধ্যেই তা নিয়ে সংসদে বিতর্কের সূচনা হওয়ার কথা। এ বিষয়ে দিন নির্ধারণের ক্ষমতা এক মাত্র স্পিকারের। সেই বিধি মেনেই ২৬ জুলাই জমা পড়া অনাস্থা নোটিশের ভিত্তিতে মঙ্গলবার লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা জানিয়েছেন, অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আগামী ৮ অগস্ট আলোচনা হবে সংসদে। ১০ অগস্ট অনাস্থা প্রস্তাবের জবাবি বক্তৃতা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ইতিহাস বলছে, স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এই নিয়ে ২৮তম অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে সংসদে আলোচনা হতে চলেছে। অতীতে দেশের তিন প্রধানমন্ত্রী, মোরারজি দেশাই, ভিপি সিংহ এবং অটলবিহারী বাজপেয়ী বিরোধীদের আনা এমন অনাস্থা প্রস্তাবেই গদি হারিয়েছিলেন। ১৯৬৩ সালে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর সরকারের বিরুদ্ধে প্রথম অনাস্থা প্রস্তাবটি এনেছিলেন জেবি কৃপালণী। বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব আনলেও মোদী সরকারের পতনের বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা নেই। কারণ ৫৪৩ সাংসদের লোকসভায় সরকারের পতন ঘটনোর জন্য প্রয়োজন ২৭২ সাংসদের সমর্থন। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সাংসদ সংখ্যা ৩৩২।
এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নরসিংহ রাওয়ের পর মোদীই দু’টি অনাস্থা জয়ের নজির তৈরি করবেন। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে সংসদের বাদল অধিবেশনেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল চন্দ্রবাবু নায়ডুর তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)। সেই প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছিল কংগ্রেস-সহ কয়েকটি বিজেপি-বিরোধী দল। বিজেপির সংখ্যাধিক্যের জোরে বিরোধীদের আনা প্রস্তাব খারিজ হয়ে গিয়েছিল।
দিল্লির আমলাদের রাশ হাতে রাখার বিল লোকসভায়
আড়াই মাস আগে নরেন্দ্র মোদী সরকার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে পাশ কাটিয়ে দিল্লির প্রশাসনিক ক্ষমতার রাশ হাতে রাখার জন্য যে অর্ডিন্যান্স (অধ্যাদেশ) জারি করেছিল, এ বার সংসদের বাদল অধিবেশনে তা পাশ করিয়ে পুরোদস্তুর আইনের চেহারা দেওয়ার চেষ্টা শুরু হল। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ‘ডেপুটি’ নিত্যানন্দ রাই লোকসভায় বিলটি পেশ করার পরেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দল ‘আম আদমি পার্টি’ (আপ)-র সুশীলকুমার রিঙ্কু-সহ বিরোধী সাংসদেরা প্রতিবাদ শুরু করেন। ‘জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লি (সংশোধনী) বিল ২০২৩’-কে ‘গণতন্ত্রের পরিবর্তে বাবুতন্ত্রের সূচনা’ বলে বর্ণনা করেন তাঁরা।
বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে শাহ মঙ্গলবার বলেন, ‘‘দিল্লি জাতীয় রাজধানী অঞ্চল’। সেখানকার প্রশাসনিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার সংসদের রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিরোধীদের প্রতিবাদ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’’ শাহের মন্তব্যের পরেই সভায় বিক্ষোভ শুরু করেন ‘ইন্ডিয়া’-র সাংসদেরা। আপের রিঙ্কু এবং কংগ্রেস সাংসদ টিএন প্রথাপন কাগজ ছোড়ায় স্পিকার ওম বিড়লা তাঁদের সতর্ক করেন। বলেন, ‘‘এমন আচরণ ঠিক নয়। দেশবাসী আপনাদের দেখছে।’’
তবে গত ১৯ মে মোদী সরকারের অর্ডিন্যান্সের থেকে নয়া বিলের খসড়ায় কিছুটা বদল করা হয়েছে। অর্ডিন্যান্সের ৩এ ধারাটি বিলের খসড়ায় বাদ দেওয়া হয়েছে। রাখা হয়েছে শুধুমাত্র ভারতীয় সংবিধানের ২৩৯এএ অনুচ্ছেদের প্রসঙ্গ। ওই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোনও আদালতের কোনও রায়, নির্দেশ বা ডিক্রিতে যা কিছুই থাকুক না কেন, ওই অনুচ্ছেদে অনুযায়ী আইন প্রণয়নের ক্ষমতা আইনসভার। প্রসঙ্গত, গত ২০ জুলাই প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ নির্দেশে বলেছিল, ‘‘জন পরিষেবা সংক্রান্ত ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে শাসনের সাংবিধানিক নীতিতে হস্তক্ষেপ করা যায় কি না, সাংবিধানিক বেঞ্চ তা বিবেচনা করবে।’’ এমনকি, সংসদ সংবিধানের ২৩৯এএ অনুচ্ছেদে বদল ঘটিয়ে জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লির শাসন ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করতে পারে কি না, তা-ও ‘সাংবিধানিক বেঞ্চের বিচার্য’ বলে জানানো হয়েছে তিন বিচারপতির বেঞ্চের নির্দেশে।
নয়া বিলের খসড়ায় ‘জাতীয় রাজধানী সিভিল সার্ভিস অথরিটি’র বার্ষিক প্রতিবেদন সংসদ এবং দিল্লি বিধানসভায় পেশ করা ‘বাধ্যতামূলক’ করা হয়েছে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, আমলাদের উদ্দেশে দিল্লির মন্ত্রীরা যে নির্দেশিকা পাঠাবেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর (উপরাজ্যপাল) এবং মুখ্যমন্ত্রীর আগে তা কেন্দ্রকে পাঠাতে হবে। এ ছাড়া অর্ডিন্যান্সে পরিষেবা সংক্রান্ত আইন প্রণয়নের রাজ্য বিধানসভার ভূমিকা পুরোপুরি ছেঁটে ফেলা হলেও বিলে তা হয়নি। খসড়ায় জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকারের ক্ষমতা শুধুমাত্র রাজ্য বিধানসভা দ্বারা তৈরি এবং পরিচালিত সংস্থাগুলির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। কেন্দ্রের আনা বিলের বিরোধিতার জন্য ইতিমধ্যেই কংগ্রেস-সহ বিভিন্ন বিরোধী দল তাদের সাংসদদের উদ্দেশে হুইপ জারি করেছে। যদিও লোকসভায় মোদী সরকারের বিপুল গরিষ্ঠতা রয়েছে। রাজ্যসভাতেও অন্ধ্রের শাসকদল ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সমর্থন মেলায় বিল পাশ কার্যত নিশ্চিত। ঘটনাচক্রে, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের দল বিজেডি মঙ্গলবার কেন্দ্রের দিল্লি-বিল সমর্থনের কথা জানিয়েছে।
পুণেয় এক মঞ্চে মোদী-শরদ
বিজেপি-বিরোধী জোটের নেতাদের ‘পরামর্শ’ উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রী মোদীর মঞ্চে উঠলেন এনসিপি প্রধান শরদ। মঙ্গলবার স্বাধীনতা সংগ্রামী বাল গঙ্গাধর তিলকের ১০৩তম প্রয়াণবার্ষিকীতে পুণায় তাঁর নামাঙ্কিত পুরস্কারে সম্মানিত করা হল মোদীকে। সম্মাননা জানালেন প্রধান অতিথি শরদ। চলতি মাসেই মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বইয়ে বসতে চলেছে বিরোধী জোটের তৃতীয় বৈঠক। উদ্যোক্তাদের মধ্যে ‘ইন্ডিয়া’র শরিক শিবসেনা (উদ্ধব) এবং কংগ্রেসের পাশাপাশি, রয়েছে শরদ পওয়ারপন্থী এনসিপি-ও। কিন্তু ওই বৈঠকের কয়েক সপ্তাহ আগে পুণেয় প্রধানমন্ত্রী মোদীর মঞ্চে শরদের উপস্থিতি বিরোধী জোটের অস্বস্তি বৃদ্ধি করল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে পুণেয় ‘লোকমান্য তিলক সম্পর্ক মন্দির ট্রাস্ট’-এর ওই কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন শরদের ভাইপো তথা এনসিপির বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতা অজিত পওয়ারও। গত মাসেই কাকার সঙ্গে ছেড়ে মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিন্ডেসেনার জোট সরকারে শামিল হয়েছেন তিনি। শুধু শিবসেনা (উদ্ধব) বা কংগ্রেসের মতো সহযোগী দল নয়, শরদপন্থী এনসিপি নেতৃত্বের একাংশও তাঁকে পুণায় না-যাওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। সম্প্রতি শরদপন্থী রাজ্যসভা সাংসদ বন্দনা চহ্বান বলেন, ‘‘যিনি আমাদের দল ভাঙলেন এবং দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন সেই নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আমাদের দলীয় প্রধানের এক মঞ্চে বসাটা ব্যক্তিগত ভাবে ঠিক বলে মনে করি না। আমি পওয়ারজিকে অনুরোধ করেছি না যাওয়ার জন্য। কিন্তু তিনি আমাকে জানিয়েছেন ওই অনুষ্ঠানে মোদীকে তিনিই আমন্ত্রণ করেছেন তিলক ট্রাস্টের অনুরোধে। সেটা অজিত পওয়ার দল ভাঙার আগের ঘটনা।’’ তার পরে মঙ্গলবার শরদের এই পদক্ষেপ।
বুধে রাষ্ট্রপতির দরবারে ‘ইন্ডিয়া’
মণিপুরের পরিস্থিতি নতুন উদ্যমে মোদী সরকারকে নিশানা করতে সক্রিয় হলেন বিরোধী নেতৃত্ব। সংসদে ‘ইন্ডিয়া’র ধারাবাহিক বিক্ষোভের পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে বুধবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর দ্বারস্থ হচ্ছেন তাঁরা। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে মঙ্গলবার মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য বিরোধী জোটের তরফে রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎ চেয়ে আবেদন করেন মঙ্গলবার। রাষ্ট্রপতি মুর্মু সেই আবেদন মেনে ‘ইন্ডিয়া’র প্রতিনিধিদলকে বুধবার সাক্ষাতের জন্য সময় দিয়েছেন।
শনিবার দু’দিনের সফরে হিংসাদীর্ণ মণিপুরে গিয়েছিলেন বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র ২১ জন সাংসদ। উত্তর-পূর্বাঞ্চেল ওই বিজেপি শাসিত রাজ্যের হিংসা কবলিত কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখেন লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন সংসদীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা। কথা বলেন হিংসায় ঘরছাড়া প্রতিনিধিদের সঙ্গে। রবিবার সকালে মণিপুরের রাজ্যপাল অনসূয়া উইকের সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে স্মারকলিপিও তুলে দেন বিরোধী সাংসদরা। শনি এবং রবিবার ছুটির পরে সংসদে নতুন করে মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে সরব হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’।