গিজগিজ করছে মানুষ। যত দূর চোখ যাচ্ছে, তত দূরে কালো মাথা দেখা যাচ্ছে। সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলার তো কোনও প্রশ্নই ওঠে না। মাস্কও কতজন পরেছিলেন, তা অনুমান করা দায়।
ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যে বড়দিনের সন্ধ্যায় পার্ক স্ট্রিটের সেই ‘ভয়াবহ’ দৃশ্য দেখে আঁতকে উঠলেন বিশেষজ্ঞরা। সেইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ভিড়ের সেই ছবি। যা দেখে নেটিজেনদের একাংশ বললেন, ‘বড়দিনের সন্ধ্যায় পার্ক স্ট্রিটে পদপিষ্ট হল ওমিক্রন।’ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এমনিতে বড়দিন এবং নববর্ষ উপলক্ষ্যে গত শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) থেকে আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ শিথিল হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে বড়দিনের সন্ধ্যায় জনসমুদ্রে পরিণত হয় পার্ক স্ট্রিট। যে দৃশ্য দেখে মনেই হচ্ছিল না যে মাসছয়েক আগেও লকডাউন ছিল পশ্চিমবঙ্গে। স্বভাবতই সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এক নেটিজেন সেই ভিড়ের ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘ওমিক্রন! সেটা আবার কী! ২৫ ডিসেম্বর উদযাপন তো করতেই হবে।বাঙালি বলে কথাও!’ অপর এক নেটিজেন বলেন, ‘২৫ ডিসেম্বরের পার্ক স্ট্রিট.. আমি বাজি রেখে বলতে পারি, বিশ্বের কোনও জায়গায় এত বিশাল ভিড় হয়নি….জেরুজালেম, বেথেলেহেম, রোমকে হারিয়ে দিলাম, তার সঙ্গে কোভিড, ওমিক্রনকেও আমরা হারিয়ে দিলাম।’
তারইমধ্যে যাঁরা সেই ভিড়ের ছবি শেয়ার করছেন, তাঁদের নিয়েও কটাক্ষ করেছেন অনেকে। তেমনই এক নেটিজন বলেন, ‘পার্ক স্ট্রিট থেকে সবেমাত্র বাড়ি ফিরে পার্ক স্ট্রিটের ছবি শেয়ার করে মানুষ গালাগালি দিচ্ছ?’ একইসুরে অপর এক নেটিজেন বলেছেন, ‘ফেসবুকের প্রায় সব মানুষ পার্ক স্ট্রিটের ভিড়ের ছবি শেয়ার করছেন দেখছি, আর বলছেন, কারা এরা, কারা গিয়েছিলেন ভিড়ে? কিন্তু আমার প্রশ্ন হল, সবাই শেয়ার করে যখন বলছেন যে আমরা যাইনি। তাহলে পার্ক স্ট্রিটে গিয়েছিলেন কে? কাদের ভিড় তাহলে ওটা?’
সোশ্যাল মিডিয়ার সেই খোঁচার মধ্যেই পার্ক স্ট্রিটের ভিড় দেখে প্রমাদ গুনছেন বিশেষজ্ঞরা। কয়েক ঘণ্টা আগেই কলকাতা মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের একটি ইন্টার্নের শরীরে ওমিক্রনেরর হদিশ মিলেছে। যিনি বিদেশ যাননি। সেই পরিস্থিতিতে যেভাবে অসচেতনতার ছবি ফুটে উঠল, তাতে সংক্রমণ বাড়তে বলে আশঙ্কা একাংশের।