রক্তচাপ ওঠানামা করছে। সংক্রমণের জন্য চলছে কড়া কড়া ওষুধ। বাড়ানো হয়েছে অ্যান্টিবায়োটিকের মাত্রা। চোখ খুলছেন না। পুরো অসাড়। মুখের কোনও প্রতিক্রিয়া নেই। বৃহস্পতিবার রাতে এমনটাই জানা গিয়েছিল হাসপাতাল সূত্রে। শহরের এক সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালের স্নায়ুরোগ চিকিৎসকরা দেখে গিয়েছেন অভিনেত্রীকে। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত তেমন ভাবে উন্নতি হয়নি ঐন্দ্রিলার।
‘গ্লাসগো কোমা স্কেল’-এ একজন সুস্থ মানুষের গড়ে এর মাত্রা থাকা উচিত ১৫-এর মধ্যে অন্তত ১৪। হাসপাতাল সূত্রে খবর নায়িকার শরীরে এই মাত্রাও তুলনায় অনেকটাই কম। ১৫–র মধ্যে ‘গ্লাসগো কোমা স্কেল’-এর মাত্রা ঐন্দ্রিলার ৩। গ্লাসগো কোমা স্কেলে কোনও রোগীর মান নির্ধারিত হয়, চোখের নড়াচড়া, অঙ্গ সঞ্চালনা, মৌখিক প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে। সেই রিপোর্টও মোটে ভাল নয়।
বুধবার থেকেই আরও বাড়াবাড়ি হয় ঐন্দ্রিলার। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ায় ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তার পর থেকে তিনি ভেন্টিলেশনেই রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থা এখনও স্থিতিশীল হয়নি। বরং, আগের মতোই সঙ্কটজনক রয়েছে। তাঁকে ‘সিপিআর’ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছিল, ব্রেন স্ট্রোকের পর মাথার যে পাশে অস্ত্রোপচার হয়েছিল ঐন্দ্রিলার, তার বিপরীত দিকে রক্ত জমাট বেঁধেছে। স্ক্যান রিপোর্টে তা জানা যায়। তা ছাড়া, বুধবারও ঐন্দ্রিলার জ্বর কমেনি। আগের মতোই অবস্থা দেখে চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, অভিনেত্রীর শরীরে এখনও সংক্রমণ রয়েছে।