Nusrat Jahan: ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ, ইডির দফতর থেকে বেরিয়ে নুসরত বললেন…

 মঙ্গলবার ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় তৃণমূল সাংসদ ও অভিনেত্রী নুসরত জাহানকে(Nusrat Jahan) তলব করে ইডি(ED)। সকাল ১১ টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে তাঁকে ডেকে পাঠানো হলেও সময়ের আগেই সকাল ১০টা ৪৩ নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন অভিনেত্রী সাংসদ। সাড়ে ৬ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। ইডি দফতর থেকে বেরোনো মাত্রই তাঁকে নানা প্রশ্ন করা হলে নুসরত বলেন, ‘ইডির সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছি’।

জানা যায় ইডির চার আধিকারিক জিজ্ঞাসাবাদ করেন নুসরতকে, উপস্থিত ছিলেন মহিলা অফিসারও। যে সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই সংস্থার সঙ্গে অভিনেত্রী-সাংসদের আর্থিক লেনদেনের প্রসঙ্গ, তাঁর ফ্ল্যাট কেনা প্রসঙ্গেও  জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় নুসরতকে। এমনকী ডিরেক্টর হিসাবে কী কী দায়িত্ব ছিল তাঁর, তাও জানতে চাওয়া হয় সাংসদের কাছ থেকে। ইডির তরফে জানা যায় যে নুসরতের স্টেটমেন্ট রেকর্ড করা হয়েছে। আপাতত ইডিকে যে যে তথ্য দিয়েছেন সাংসদ অভিনেত্রী, তাই খতিয়ে দেখছেন ইডির আধিকারিকরা। যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে আবারও তাঁকে ডেকে পাঠানো হবে, এমনটাই খবর।

ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার কোম্পানি। সেই সময় ঐ সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর ছিলেন নুসরত জাহান। ফ্ল্যাট তৈরির জন্য কেনা হবে জমি, এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৪২৯জনের থেকে ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা করে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সব মিলিয়ে সেই টাকার পরিমাণ ২৩ কোটি ৮ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা। এরপর কেটে গেছে ৯ বছর। এখনও যাঁরা টাকা দিয়েছিলেন, তাঁরা কোনও ফ্ল্যাট পাননি।

প্রসঙ্গত, টাকা দিয়েও ফ্ল্যাট না পাওয়ার অভিযোগ নিয়ে প্রথমে কলকাতা পুলিসের দ্বারস্থ হব প্রতারিতরা, এরপর ইডির কাছে অভিযোগ করেন তাঁরা। তদন্তভার নেওয়ার পর ইডি সূত্রে দাবি, একটি মোটা অঙ্কের টাকা গিয়েছিল নুসরত জাহানের কাছে। ঘুর পথে টাকা নেওয়ার ছক, মনে করছেন তদন্তকারীরা, দাবি ইডি সূত্রের। যদিও প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে নুসরত জাহান দাবি করেছিলেন তিনি কোনও প্রতারণার সঙ্গে জড়িত নন। তিনি সংস্থার ডিরেক্টর থাকাকালীন সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েছিলেন মাত্র। সেই টাকা তিনি সুদে আসলে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বলেও দাবি করেছিলেন অভিনেত্রী সাংসদ। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.