২৩ কোটির টাকার প্রতারণা মামলায় নাম জড়িয়েছে সাংসদ অভিনেত্রী নুসরত জাহানের(Nusrat Jahan)। এই মামলায় তিনি অন্যতম অভিযুক্ত। মঙ্গলবার সাড়ে ৬ ঘণ্টা অভিনেত্রী সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ইডির(ED) আধিকারিকরা। এদিন সময়ের একটু আগেই নীলবাতির গাড়ি করে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন নুসরত। সেই নীলবাতি জ্বালিয়েই ফিরলেন বাড়িতে। সেখান থেকেই উঠছে প্রশ্ন, একজন সাংসদ কি নীলবাতির গাড়িতে ঘুরতে পারেন? প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত কেন নীলবাতির গাড়ি নিয়ে যাবেন সিজিও কমপ্লেক্সে? অভিযুক্ত হয়ে নীলবাতির গাড়িতে হাজিরা কীভাবে?
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী অর্থাৎ ২০২১ সালে রাজ্য পরিবহণ দফতরে শেষ অর্ডার অনুযায়ী কোনও সাংসদ বা বিধায়ক নীল বাতির গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন না। ১৪ টি ক্যাটেগরির পদাধিকারীর নীলবাতি ব্যবহার করতে পারেন, সেই তালিকায় রয়েছেন রাজ্যের সব মন্ত্রী, মুখ্যসচিব, অতিরিক্ত মুখ্যসচিব, প্রধান সচিব, প্রত্যেক দফতরের সচিবরা, সব ডিভিশনাল কমিশনার, ডিজি, এডিজি, ডিজি দমকল, শুল্ক কমিশনার, সব আইজি, ডিআইজি, সব জেলাশাসক, পুর কমিশনার, সব পুলিস সুপার, মহকুমা শাসক। সেই তালিকায় নেই বিধায়ক ও সাংসদ অর্থাৎ আইনসভার সদস্য হয়ে নিজেই আইন ভাঙলেন নুসরত জাহান। অনেকেই সাংসদের এই আচরণকে ক্ষমতা প্রদর্শন বলেই মনে করছেন।
এই বিষয়ে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘তৃণমূল নিজেই আইন বানায়, নিজেই ভাঙে। নীলবাতির গাড়ি চড়ে বহু সাংসদ ঘুরে বেড়াচ্ছেন’। নুসরতের নামে অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘তৃণমূলে অভিযুক্ত তো সকলেই। যে কোম্পানির নামে অভিযোগ উঠেছে সেই কোম্পানির তো লাল বাতি জ্বলে গেছে। যে সমস্ত বৃদ্ধ মানুষেরা তাঁদের সর্বস্ব তুলে দিয়েছে, তাঁদের ঘরে তো সব বাতি নিভে গেছে’। অন্যদিকে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘আমি দেখিনি তাই এই ব্যাপারে মন্তব্য করতে পারব না। তবে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহজ সরল জীবনযাপনই আমরা তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যরা অনুকরণ করি’।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগে নীলবাতির গাড়িতে চেপে শ্যুটিংয়ে গিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন নুসরত জাহান। নীল বাতির গাড়ি নিয়ে ব্যক্তিগত কাজেও ঘুরতে দেখা যায় নুসরত জাহানকে, সঙ্গে ছিলেন যশ দাশগুপ্তও। সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই সময় নেটপাড়ায় চরম বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন অভিনেত্রী সাংসদ।