নিট ও নেট সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার আয়োজক সংস্থা জাতীয় টেস্টিং এজেন্সি তথা এনটিএ’তে ত্রুটি রয়েছে, একথা স্বীকার করে নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। তাই ত্রুটি শুধরানোর জন্য উচ্চ পর্যায়ের কমিটিও গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটি এবার পরীক্ষা পদ্ধতির আয়োজন সংক্রান্ত পরামর্শ চাইল সাধারণ মানুষের কাছ থেকেও।
ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকদের কাছ থেকে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে, কিভাবে এনটিএ’র পরিষেবা আরো উন্নত করা যায়, সে বিষয়ে নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন পড়ুয়া এবং অভিভাবকরা। পরামর্শ গ্রহণের জন্য একটি পৃথক ওয়েবসাইট চালু করেছে কেন্দ্রের তৈরি ঐ কমিটি। ছাত্র-ছাত্রীরা চাইলেই পরীক্ষা সংক্রান্ত নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন সেখানে।
এনটিএ’র ত্রুটি শুধরানোর জন্য কেন্দ্র যে কমিটি গঠন করেছে তার মাথায় রয়েছেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান কে রাধাকৃষ্ণন।এছাড়াও শিক্ষা, চিকিৎসা, প্রযুক্তি বিজ্ঞান প্রভৃতি বিবিধ ক্ষেত্রের দক্ষ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের কমিটিতে রাখা হয়েছে।
ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয় গত ৪ জুন। লোকসভা নির্বাচনের ফলের দিনেই দেখা যায় ৭২০- র মধ্যে ৭২০ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছেন মোট ৬৭ জন। তাদের মধ্যে অনেকে আবার একই পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে পরীক্ষায় বসেছিলেন। এছাড়া দেখা যায় অনেক পরীক্ষার্থী এমন নম্বর পেয়েছেন তা সাধারণের হিসেবের বাইরে। এরপরই নিটের ফল নিয়ে স্বচ্ছতা এবং গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। অভিযোগ প্রশ্ন ফাঁস হয়ে গেছে।
নিটের পরে ইউজিসি নেট পরীক্ষাও বাতিল ঘোষণা করা হয়। এনটিএ’র গলদ স্বীকার করে নিয়ে একের পর এক প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা পিছিয়ে দেয় কেন্দ্র। ডার্ক নেটে প্রশ্ন ফাঁস হয়ে যাচ্ছে বলে জানান খোদ কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। একাধিক রাজ্য থেকে এই সংক্রান্ত ঘটনায় ধরপাকরের শুরু করে পুলিশ। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এনটিএ শোধন করে পরীক্ষা পদ্ধতি বদলে নতুন করে পরীক্ষার আয়োজন করা হবে। উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করার কথাও বলেছিলেন তিনি। সেই কমিটি এবার জনসাধারণের কাছ থেকে পরামর্শ চাইল।