সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে খুয়ে ফেলা সাংসদ পদ চার মাসের মাথায় ফিরে পেয়েছেন রাহুল গান্ধী। আর তাতেই একরকম উৎসবে মেতে উঠেছে বিরোধী জোট। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কংগ্রেস- তৃণমূলের এই যৌথ উল্লাস প্রসঙ্গে একাধিক কটাক্ষ করেছেন। নবান্নের পুরনো ঘটনা তুলে ধরে তৃণমূল কংগ্রেস ও বামেদের এই বাংলাতেও বড় জোট হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। একই সঙ্গে রাহুল গান্ধীকে ফের পাপ্পু বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। অন্যদিকে রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা এবং সাংসদ পদ খারিজ প্রসঙ্গে বিরোধীদের বিজেপিকে আক্রমণ করার ঘটনাকে হাস্যকর বলে দাবি করেছেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমিক ভট্টাচার্য।
রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ ফিরে পাওয়া কংগ্রেস সহ ইন্ডিয়া জোটের কাছে জয় বলেই মনে করেছেন বিরোধীরা। তাই এই জয় উদযাপন করতে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে হাতে কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গেকে মিষ্টি খাইয়ে দিয়েছেন। আর এই প্রসঙ্গেই তীব্র কটাক্ষ করেন বাংলার বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি মনে করিয়ে দেন, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার দু’বছর পর ২০১৪ সালে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু সহ অন্যান্য বাম প্রতিনিধিরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নালিশ জানাতে গেলে মুখ্যমন্ত্রী তাদের নিজের ঘরে বসিয়ে ফিস ফ্রাই খাইয়েছিলেন। সুকান্ত মজুমদার বলেন, তিনি অপেক্ষা করছেন নবান্নে কবে অধীর চৌধুরীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফিস ফ্রাই খাওয়াবেন আর সেখানে বিমান বসুও থাকবেন। বাংলায় অধীর চৌধুরীর ক্রমাগত তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেও সংসদে দুই দলের সাংসদদের সখ্যতা প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেছেন সুকান্ত।
আবার, রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ ফিরে আসা প্রসঙ্গে তীব্র কটাক্ষ করেছেন সুকান্ত। তাঁর কথায়, রাহুল গান্ধী এসে গিয়েছেন এবার পাপ্পু টু সিরিজ শুরু হবে। কংগ্রেসের জন্য চিনের সাহায্য পাওয়া আরো সহজ হবে। তবে তিনি মনে করিয়ে দেন, রাহুল গান্ধীর মূল মামলা থেকে এখনো রেহাই পাননি। মূল মামলার নিষ্পত্তি হয়নি।
অন্যদিকে মোদী পদবি বিতর্ক মামলায় রাহুল গান্ধীর জয় পরাজয় নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করাকে হাস্যকর বলেই দাবি করেছেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমিক ভট্টাচার্য। তাঁর কথায় রাহুল গান্ধী একটি সম্প্রদায় সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করেছেন। তাই সেই সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি মামলা করেছেন। সুপ্রিম কোর্ট সেই মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে, মামলাটি বাতিল করেনি। বিজেপি মামলাটি করেনি সুতরাং বিজেপিকে আক্রমণ করা হাস্যকর। এই মামলার সঙ্গে বিজেপির কোনো যোগ নেই। তাঁর দাবি, “রাহুল গান্ধীর সঙ্গে আমাদের লড়াই ময়দানে।”