শেষ বার কবে এই ছবি দেখেছিল খেলার দুনিয়া! এক জন খেলোয়াড় প্রতিযোগিতায় নামতে পারবেন কি না জানেন না। তিনি যাতে নামতে পারেন সেই আবেদন করছেন ভক্তরা। সই সংগ্রহ করছেন তাঁরা। আবেদন করছেন একটি দেশের ক্রীড়া প্রশাসনের কাছে। তিনি নোভাক জোকোভিচ।
কোভিড টিকা না নেওয়ায় বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম ইউএস ওপেনে নামতে পারবেন কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত নন জোকোভিচ। ভবিষ্যতেও টিকা নেবেন না বলেই জানিয়েছেন তিনি। আমেরিকায় ঢুকতে গেলে দু’টি কোভিড টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক। তা না হলে বাইরের দেশের কাউকে আমেরিকার বিমানে উঠতে দেওয়া হয় না। জোকোভিচ টিকা না নেওয়ায় ২৯ অগস্ট থেকে শুরু হতে চলা প্রতিযোগিতায় তাঁর খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
গত ২১ জুন থেকে জোকোভিচের সমর্থনে সই সংগ্রহ শুরু করেছে একটি সংস্থা। তাদের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘এখন করোনার প্রকোপ অনেকটাই কম। এই পরিস্থিতিতে ইউএস ওপেনে জোকোভিচকে খেলতে না দেওয়ার কোনও যুক্তি নেই। আমেরিকার টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের কাছে আবেদন করা হয়েছে যাতে জোকোভিচকে খেলতে দেওয়া হয়। আমরা ১২ হাজারের বেশি সই সংগ্রহ করেছি। আশা করছি টেনিস সংস্থা আমাদের আবেদন মেনে নেবে।’
উইম্বলডন জেতার পরে জোকোভিচের মুখে উঠে এসেছিল ইউএস ওপেনে খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তার কথা। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি কোভিড টিকা নিইনি। ভবিষ্যতেও নেব না। তাই হয় আমাকে আমেরিকায় ঢুকতে দেওয়ার জন্য সে দেশের কোভিড আইন শিথিল করতে হবে। নইলে আমাকে অনুমতি দেওয়া হবে না। আশা করছি আমেরিকা থেকে ভাল খবর আসবে। যদি সেটা না হয় তা হলে অন্য কিছু ভাবব।’’
কোভিড টিকা না নেওয়ায় বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলার অনুমতি পাননি জোকোভিচ। মেলবোর্ন পৌঁছে যাওয়ার পরেও সে দেশ থেকে বার করে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। আমেরিকায় যাতে এই ধরনের কোনও ঘটনা না ঘটে তার জন্য আগে থেকেই তৈরি হচ্ছেন তাঁর ভক্তরা।
চলতি বছর ফরাসি ওপেন ও উইম্বলডনে খেলেছেন জোকোভিচ। ফরাসি ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে রাফায়েল নাদালের কাছে হারলেও নিক কিরিয়সকে হারিয়ে সপ্তম বার উইম্বলডন জিতেছেন। ২২তম গ্র্যান্ড স্ল্যামের লক্ষ্যে জোকোভিচ ইউএস ওপেনে নামতে পারবেন কি না সে বিষয়ে সে দেশের টেনিস সংস্থার তরফে কিছু জানানো হয়নি। তবে এখন থেকেই কোমর বেঁধেছেন জোকোভিচের ভক্তরা।