এবার জাল গোটাতে শুরু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কয়েকদিন আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নয়াদিল্লিতে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। সেখানে গিয়েছিলেন অভিষেক। কিন্তু তাঁদের মনে হয়েছে আরও কিছু প্রশ্ন জানা দরকার। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দ্বিতীয়বার তলব করা হয়েছিল। সেটায় তিনি যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। তারপরই কয়লা কাণ্ডে তিন সংস্থার কর্মকর্তাকে তলব করা হল তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানির সিইও সুজয় ভদ্রকে তলব করা হয়েছে। তিনদিনের মাথায় ১৫ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে তাঁকে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইডি সূত্রে খবর, সুজয় ভদ্রের পাশাপাশি ওই কোম্পানির আরও দুই ডিরেক্টরকেও তলব করা হয়েছে। কয়লা কাণ্ডের তদন্ত করতে গিয়ে এই কোম্পানির যোগসূত্র মিলেছে। এই কোম্পানির সঙ্গে অভিষেকের যোগাযোগ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তের ক্ষেত্রে সবদিক বিচার করা হচ্ছে। বাকি দুই ডিরেক্টরকে একই দিনে ডাকা হয়েছে কিনা তা ইডি স্পষ্ট করেনি।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এই সংস্থার পক্ষ থেকে কোনও বক্তব্য দেওয়া যায়নি। অন্যদিকে আবার কয়লাকাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডি তলব করেছে। এই খবর নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তবে সম্ভবত ২১ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে অভিষেককে। তবে তিনি যাবেন কিনা সেবিষয়ে কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরের উপনির্বাচন। সেখানে তারকা প্রচারকদের মধ্যে তিনি আছেন। সেখানে ২১ তারিখ তিনি নয়াদিল্লি যাবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ইডির প্রথম তলবে ময়াদিল্লি গিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। উইখোমুখি হয়েছিলেন টানা প্রায় ৯ ঘণ্টা জেরার। তারপর দ্বিতীয় নোটিশ তাঁর কাছে পৌঁছে যায়। এবার এসেছে তৃতীয় নোটিশ। উপনির্বাচনের ঠিক আগে এই নোটিশ রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে বলেই মনে করছেন তৃমমূল কংগ্রেসের নেতারা।