করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে ভারত। দেশবাসীর সহযোগিতা পেয়ে আমি কৃতজ্ঞ। তবে করোনা মোকাবিলায় শুধু প্রতিষেধক নিলে হবে না, মেনে চলতে হবে দূরত্ব বিধি। তাহলেই ঠেকানো সম্ভব হবে করোনাকে। দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে ৭৫ তম মন কি বাত অনুষ্ঠানে রবিবার এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, করোনার প্রকোপ ঠেকাতে দুই বিষয়ে সতর্ক হতে হবে।
দেশে নতুন গতিতে যে ভাবে কভিড সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তাতে নতুন করে মহামারির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সেই পরিস্থিতিতেই ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে মোদী বলেন, ‘বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ প্রক্রিয়া চলছে দেশে । উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরে ১০৯ বছরের এক নারী প্রতিষেধক নিয়েছেন। ১০৭ বছরের এক নারী প্রতিষেধক নিয়েছেন দিল্লিতে। আমাদের বুঝতে হবে যে, ওষুধ যেমন প্রয়োজনীয়, তেমনই জরুরি বিধি নিষেধ মেনে চলাও।’’ করোনার বিরুদ্ধে লড়াই ভারত গোটা বিশ্বকে পথ দেখিয়েছে বলেও রবিবার মন্তব্য করেন মোদী।
জনতা কার্ফু-কে বিশ্বের কাছে এক অনুপ্রেরণা হিসাবে তুলে ধরে আজ মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গত বছর মার্চে দেশবাসী প্রথম জনতা কার্ফুর বিষয়ে জানতে পারেন। সেই সময় থেকেই দেশবাসী বীরত্বের সঙ্গে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছেন,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী। চিকিত্সক-স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। জনতা কার্ফুর দিনটি মনে করে মোদী বলেন, ‘হাততালি দিয়ে প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের উত্সাহ জুগিয়েছে গোটা দেশ।’
সেই সঙ্গে এদিন করোনা ভ্যাকসিন এর বিষয়েও আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘গত বছর এই সময়ে আদৌ করোনার কোনও টিকা আসবে কিনা, তা কবেই বা আসতে পারে, সেটাই কেউ জানতেন না। আজ বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকাকরণ কর্মসূচী ভারতে। তবে করোনা মোকাবিলায় শুধু প্রতিষেধক নিলে হবে না, মেনে চলতে হবে দূরত্ব বিধি। তাহলেই ঠেকানো সম্ভব হবে করোনাকে। ‘
প্তস্নগত, গত বছর ২২ মার্চ জনতা কার্ফুর ডাক দেন প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি তার এক বছর পূর্ণ হয়েছে। করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে অনেকটাই এগিয়েছে ভারত। তবে, আবারও লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। সেই নিয়েই কিছুটা দুশ্চিন্তায় বিশেষজ্ঞরা।