নববর্ষের আগেই আবার ‘স্বমহিমায়’ উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উন! শুক্রবার ‘অজানা’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করে আন্তর্জাতিক মহলের আশঙ্কা বাড়ালেন তিনি।
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিযোগ, শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার ছোড়া পরমাণু অস্ত্র বহনের ক্ষমতাসম্পন্ন ৩টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পূর্ব সাগরের (জাপান সাগর) জলে পড়েছে। তবে উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি’ এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। সম্প্রতি জাপানের উপকূলের অদূরের ওই এলাকাতেই পরমাণু অস্ত্রবাহী হোয়াসং সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রের ধারাবাহিক পরীক্ষা করেছিল কিমের সেনা।
অক্টোবরের গোড়ায় জাপানের ভূখণ্ডের উপর দিয়ে একটি মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল উত্তর কোরিয়া। উত্তর-পূর্ব জাপান অতিক্রম করে ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রশান্ত মহাসাগরে গিয়ে পড়ে। উত্তর কোরিয়ার ওই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ‘জবাবে’ জাপান সাগরে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে আমেরিকা এবং তাদের মিত্র দেশ দক্ষিণ কোরিয়া। এর জেরে উত্তেজনা তৈরি হয় কোরীয় উপদ্বীপ অঞ্চলে। সোমবারও উত্তর কোরিয়ার ড্রোন সোলের অদূরে দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘন করে বলে অভিযোগ।
ঘটনাচক্রে, একদলীয় উত্তর কোরিয়ার শাসকদল ‘ওয়ার্কার্স পার্টি অফ কোরিয়া’র কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে। কিমের নেতৃত্বে সেখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি, অতীতে দেখা গিয়েছে কিম দলের অন্দরে তাঁর ‘সম্ভাব্য বিরোধীদের’ চিহ্নিত করতেও এমন বৈঠককে বেছে নেন। কয়েক বছর আগে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকেই কোরিয়ান পিপল’স আর্মির প্রধান জেনারেল রি ইয়ং-গিলকে পৃথক রাজনৈতিক গোষ্ঠী তৈরির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। এর পরে তাঁর মৃত্যুদণ্ডের সাজা হয়।