অসম সহ উত্তর-পূর্বের একাধিক রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির ক্রমেই অূনতি হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত অসম, মেঘালয় এবং অরুণাচলপ্রদেশে মোট ১৩১ জন মারা গিয়েছে বন্যার জেরে। গতকাল শুধুমাত্র অসমেই ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রের তরফে সব ধরনের সাহায্যের বার্তা দেওয়া হয়েছে বন্যা কবলিত রাজ্যগুলিকে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন করতে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কেন্দ্রীয় দল অসম ও মেঘালয়ের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করবে। অসম বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের দৈনিক বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ওই রাজ্যে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। কাছাড় জেলায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে বরপেটায়। বাজালি, কামরূপ, করিমগঞ্জ, উদলগুড়িতে এক জন করে মৃত্যুর খবর মিলেছে। ডিব্রুগড়ে চার জন নিখোঁজ হয়েছেন। কাছাড়, হোজাই, তমুলপুর, উদলগুড়িতে এক জন করে নিখোঁজ।
অসমে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭০। রাজ্যের ৩০ জেলায় অন্তত ৪২ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সব চেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বরপেটা, বক্সা, গোয়ালপাড়া আর কামরূপে। সব চেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বরপেটা, বক্সা, গোয়ালপাড়া আর কামরূপ জেলায়। এদিকে মেঘালয়েও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তা নিয়ে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী সাংমা কনরাডের সঙ্গেও কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিকে ভারতের আবহাওয়া দফতরের (আইএমডি) গুয়াহাটি অফিস সোমবার এই অঞ্চলের সাতটি রাজ্যের জন্য নতুন করে বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছে। বুলেটিন অনুসারে, শুক্রবার পর্যন্ত অসম, মেঘালয়, অরুণাচলপ্রদেশ, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর এবং ত্রিপুরার এলাকায় বজ্রঝড় এবং ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।