এ বছর অর্থনীতিতে নোবেল জিতে নিলেন অধ্যাপক ক্লদিয়া গোল্ডিন। আজ, সোমবার রয়্যাল সুইডিস অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে অর্থনীতিতে ২০২৩-এর নোবেল পুরস্কারপ্রাপক হিসেবে গোল্ডিনের নাম ঘোষণা করা হল। মহিলাদের শ্রম-উন্নয়নে বিশেষ দিশা দেখানোর স্বীকৃতি হিসেবেই এই পুরস্কার পেলেন তিনি।
রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সের তরফে অর্থনীতিতে নোবেলপ্রাপক হিসাবে ক্লদিয়া গোল্ডিনের নাম ঘোষণা করে বলা হয়, মহিলাদের উপার্জন এবং বিশ্বের শ্রমবাজারে তাঁদের অংশগ্রহণের প্রথম ব্যাপক বিবরণ দিয়েছেন ক্লদিয়া। পাশাপাশি সমাজবদলের কারণও উঠে এসেছে তাঁর গবেষণায়।
প্রসঙ্গত, গতবছর ২০২২ সালে করোনা-বিধ্বস্ত ও যুদ্ধ-কণ্টকিত পৃথিবীতে অর্থনৈতিক সংকটই ছিল সব চেয়ে বড়। সাধারণ মানুষ মাত্রেই এর থেকে সুরাহা খুঁজছেন। আশ্চর্যের কথা হল শুধু সাধারণ মানুষ নয়, এর থেকে রেহাই খুঁজছিলেন অর্থনীতিবিদেরাও। শুধু খুঁজছিলেনই না, এক্ষেত্রে তাঁরা অনেকদূর এগিয়েও গিয়েছিলেন। তাঁদের সেই অর্জনকেই গতবছর স্বীকৃতি জানিয়েছিল রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি। ২০২২ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন বেন বারনানকে, ডগলাস ডায়মন্ড, ফিলিপ ডিবভিগ। নোবেল কমিটি জানিয়েছে, কী ভাবে ব্যাংকিং ব্যবস্থার সংকট কম করা যায়, কী ভাবে ফেল করে যাওয়া ব্যাংক আর্থিক সংকট বাড়িয়ে তোলে– এই সবটা নিয়েই নতুন দিনের ব্যাংকিং গবেষণা করেছেন তাঁরা। নোবেল কমিটি জানিয়েছিল, অর্থনীতিবিদ ডগলাস ডায়মন্ড এবং ফিলিপ ডিবভিগ তাত্ত্বিক মডেল তৈরি করে ব্যাঙ্কগুলির প্রয়োজনীয়তার কথা ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁরা দেখিয়েছেন, কীভাবে সমাজে ব্যাংকের ভূমিকাই ব্যাংকের পতন সম্পর্কে গুজব তৈরি করে এবং কীভাবেই-বা সমাজ এই সংকটের ঝুঁকি কমাতে পারে। বেন বারনানকে আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সঙ্কট বলে যেটি পরিচিত সেই ১৯৩০ সালের ‘গ্রেট ডিপ্রেশন’কে বিশ্লেষণ করেছেন!
গত ২ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে আজ, ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ধাপে ধাপে চলতি বছরের নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হল। ২ অক্টোবর চিকিৎসাবিজ্ঞানে, ৩ অক্টোবর পদার্থবিদ্যায়, ৪ অক্টোবর রসায়নে, ৫ অক্টোবর সাহিত্যে এবং ৬ অক্টোবর শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়। এর দু-দিন পরে আজ, অর্থনীতিতে নোবেলজয়ীর নাম ঘোষণা করা হল।