অশ্বিনকে বসিয়ে রাখায় যতই সমালোচনা হোক, জাদেজাকে খেলানোর ফাটকা কাজে লেগে যায় কোহলির

শুধু আইসিসির দু’নম্বর টেস্ট বোলার বলেই নয়, দীর্ঘতম ফর্ম্যাটে ৪০০-র বেশি উইকেট নেওয়া অভিজ্ঞ অশ্বিনকে বসিয়ে রাখা কোনওভাবেই সহজ কাজ নয়। সেই কঠিন সিদ্ধান্তটাই সিরিজের শুরু থেকে নিয়ে আসছেন বিরাট কোহলি তথা ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। সিরিজ যত গড়িয়েছে, অশ্বিনকে প্রথম একাদশে ফেরানোর চাপ ততই বেড়েছে। তা সত্ত্বেও নিজের পরিকল্পনাতেই স্থির থেকেছেন ভারত অধিনায়ক।

এক্ষেত্রে রবীন্দ্র জাদেজা ক্যাপ্টেনের আস্থার পূর্ণ মর্যাদা রেখেছেন বলা যায়। সিরিজের শুরুর দিকে ব্যাট হাতে কার্যকরী অবদান রেখেছেন জাদেজা। পরের দিকে বোলার হিসেবেও নিজের ছাপ রেখেছেন তিনি। বলাবাহুল্য, অশ্বিনের বদলে জাদেজাকে মাঠে নামিয়ে যে ফাটকা খেলেছিলেন কোহলি, তা পুরোপুরি কাজে লেগে যায় সিরিজে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

নটিংহ্যাম ও লর্ডসের পিচে স্পিনারদের জন্য বিন্দুমাত্র সাহায্য ছিল না। ম্যাচে জাদেজার বোলিংয়ের তেমন প্রয়োজনও পড়েনি। চার পেসারই নিজেদের দায়িত্ব যথাযথ পালন করায় জাদেজার ভূমিকা হয় কার্যত বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানের। অশ্বিনের তুলনায় ব্যাটের হাত ভালো বলেই অল-রাউন্ডার হিসেবে জাদেজাকে দলে রাখে ভারত। জাদেজা নটিংহ্যামে ৫৬ এবং লর্ডসে ৪০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে দলের সার্বিক পারফর্ম্যান্সে কার্যকরী অবদান রাখেন।

হেডিংলে টেস্টে ভারত হারলেও ব্যাট হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০ রান করেন এবং বল হাতে ২টি উইকেট নেন জাদেজা। ওভালের চতুর্থ টেস্টে কখনই মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন না জাদেজা। তা সত্ত্বেও ভারতের জয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি।

ব্যাটিং অর্ডারে প্রোমোশন পেয়েও দুই ইনিংসে ১০ ও ১৭ রানের বেশি সংগ্রহ করতে পারেননি। তবে বল হাতে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৪টি উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘোরাতে সাহায্য করেন জাদেজা। এমনটা নয় যে, ওভালের পিচে স্পিনারদের জন্য বিস্তর সাহায্য ছিল। বরং পাটা উইকেটে ব্যাটসম্যানরাই ছড়ি ঘুরিয়েছেন আগাগোড়া। তবে শেষ দিনে যে রকম নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে ৩০ ওভার বল করেন জাদেজা, তাতে চাপ বাড়ে ইংল্যান্ডের উপরে। যার ফলেই রুটদের বিধ্বস্ত করা সম্ভব হয় কোহলিদের পক্ষে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.