আদালতে যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা জমা দেওয়ায়
এসএসসি’কে ধন্যবাদ জানালেন কেন্দ্রীয় প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। সেই সঙ্গে ঘুর পথে অযোগ্যদের যারা চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন তাদের শাস্তি দেওয়ার আবেদন জানান তিনি।
মঙ্গলবার সকালে তারাপীঠ মন্দিরে মা তারার পুজো দেন নিশীথ প্রামাণিক। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির বীরভূম লোকসভার প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্য। সেখান থেকে চলে যান রামপুরহাট ২ নম্বর ব্লকের বিষ্ণুপুর অঞ্চলে। বিষ্ণুপুর অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রাম কখনও পেয়ে হেঁটে কখনও হুড খোলা গাড়িতে প্রচার চালান বিজেপি প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্যকে নিয়ে। এরই মাঝে সাংবাদিকদের সঙ্গে মিলিত হন তিনি। কাকতলীয়ভাবে এদিনই আদালতে ১৯ হাজার শিক্ষকের চাকরি বৈধ বলে
হলফনামা জমা দেয় এসএসসি।
এপ্রসঙ্গে নিশীথ প্রামাণিক বলেন, “অনেক আগেই
এসএসসির ওই হলফনামা জমা দেওয়া উচিত ছিল। যারা যোগ্য প্রার্থী তাদের অনেক দিন ধরে ভুগতে হলো তৃণমূল পরিচালিত সরকারের জন্য। আমরা আগেই বলেছিলাম যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা আদালতে তুলে দেওয়া হোক। কারণ যোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে আমরা আছি। যারা নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ দিয়ে রাস্তায় বসে আছেন তার জন্য দায়ী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। অযোগ্যদের বাঁচাতেই যোগ্যদের রাস্তায় বসিয়েছে এই সরকার। এমন অনেকে আছেন যারা পরীক্ষায় না বসেও চাকরি পেয়েছিলেন। এই দুর্নীতির পিছনে যারা কালপিট রয়েছে তাদের খুঁজে বের করা প্রয়োজন। তদন্তে রাজ্যের যে কোনো মন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলে তাদের সাজা পেতে হবে”।
মুর্শিদাবাদে নির্বাচনে অশান্তি প্রসঙ্গে নিশীথ প্রামাণিক বলেন, “এই সরকারের আমলে নির্বাচন মানেই অশান্তি। নির্বাচন এলেই তৃণমূল দাগি দুষ্কৃতীদের সামনে নিয়ে আসে। এখন পুলিশ আর দুষ্কৃতী ছাড়া তৃণমূলের কিছু নেই। তবে যারা এসব করছেন তাদের বলি বীরভূমের মাটিতে অনুব্রত মণ্ডল নিজেকে ডন, মস্তান ভাবতেন। তিনি পুলিশকে বোম মারার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তিনি এখন তিহার জেলে বসে রয়েছেন। ফলে এখন যারা ছোটোখাটো মস্তান, মস্তানি করছেন, তাদের জন্য জেল অপেক্ষা করছে”।