লোকসভা নির্বাচনের আগে নির্মলা সীতারামনের স্বামী এমন কিছু মন্তব্য করেছিলেন, যাতে জনমানসে বিজেপি-র ভাবমূর্তি মার খেয়েছিল। বিরোধীরাও বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিলেন। কিন্তু সেই নির্মলাকেই ফের মন্ত্রিসভায় ফিরিয়ে নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
নির্মলার অর্থনীতিবিদ স্বামী পরাকলা প্রভাকর নির্বাচনী বন্ড নিয়ে যে মন্তব্য করেন, তাকে অনেকেই বলেন ভোটের মুখে ‘বিস্ফোরণ’। তার পর স্বয়ং নির্মলার বক্তব্যও আলোড়িত করে রাজনৈতিক মহল এবং বিজেপিকে। উপর্যুপরি ওই ঘটনার পর অনেকেই বলেন, নরেন্দ্র মোদীর শাসনকালের এক দশকে ভিতর থেকে এই ধরনের ‘ফোঁস’ কখনও শোনা যায়নি।
সময়ের নিরিখেই প্রভাকর এবং নির্মলার বক্তব্যকেজুড়ে দেখতে চাইছিলেন অনেকে। বিজেপি নেতারাও ঘরোয়া আলোচনায় মানেন, ভোটের মুখে নির্মলা এবং তাঁর স্বামীর বক্তব্য দলের জন্য ‘অস্বস্তিকর’। বিরোধী শিবিরের নেতাদেরও বক্তব্য, অর্থমন্ত্রীর স্বামী যে ভাবে মোদী সরকারের দিকে দুর্নীতির আঙুল তুলেছেন এবং খোদ অর্থমন্ত্রী যে ভাবে লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়াবেন না বলেছেন, তার মধ্যে একটা দায় ঝেড়ে ফেলা বা সরে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। যা মোদী জমানায় কখনও দেখা যায়নি।
বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ নির্মলা সীতারামন লোকসভায় লড়েননি। আগের মন্ত্রিসভায় তিনি অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। রবিবার পূর্ণমন্ত্রী হিসাবেই শপথ নিয়েছেন। তবে কোন মন্ত্রকে তাঁকে এ বার পাঠানো হবে, তা স্পষ্ট নয়। এই নিয়ে পর পর তিন বার মোদী মন্ত্রিসভার সদস্য হলেন নির্মলা।
এই সঙ্গে এবার থাকছেন শোভা কারনদলাজে।
কর্ণাটকের বিজেপি নেত্রী শোভা আগের মন্ত্রিসভাতেও ছিলেন। তিনি কৃষি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন।কর্ণাটকের তিন বারের সাংসদ তিনি। এ বার ভোটে লড়েছিলেন বেঙ্গালুরু উত্তর কেন্দ্র থেকে। আড়াই লক্ষের বেশি ভোটে জিতে তিনি বেঙ্গালুরুর প্রথম মহিলা সাংসদ হয়েছেন। রবিবার শপথ নিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী হিসাবে।
থাকছেন উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুর কেন্দ্র থেকে এ বার ৩.৭০ লক্ষের বেশি ভোটে জিতে আসা ‘আপনা দল’-এর প্রধান অনুপ্রিয়া পটেল। তিনি ওবিসি কুড়মি সম্প্রদায়ের নেত্রী। আগের মন্ত্রিসভায় বাণিজ্য বিভাগের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তিনি। এ বারও প্রতিমন্ত্রী করা হল অনুপ্রিয়াকে।