প্যারিস সঁ জরমঁ ছাড়তে চাইলেন নেমার। ফ্রান্সের ক্লাব ছেড়ে ইতিমধ্যেই ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিয়েছেন লিয়োনেল মেসি। অনুশীলনে না এসে এক প্রকার বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন কিলিয়ান এমবাপেও। এমন অবস্থায় দল ছাড়তে চাইছেন ব্রাজিলের তারকাও। তিনি বার্সেলোনায় ফিরতে চান বলে জানা গিয়েছে।
প্যারিসের ক্লাবটিতে ছ’বছর ধরে খেলছেন নেমার। এক ফরাসি সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে যে, এ বারের দলবদলের মরসুম শেষ (৩১ অগস্ট) হওয়ার আগেই তিনি পিএসজি ছাড়তে চাইছেন। ২০১৭ সালে বার্সেলোনা ছেড়ে এই ক্লাবে এসেছিলেন নেমার। কিন্তু গত মে মাসে পিএসজি সমর্থকেরা যে ভাবে বাড়ি ঘিরে বিদ্রুপ করেছিলেন, তা ভাল লাগেনি নেমারের। এর পরেই তিনি পিএসজি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন বলে মনে করা হচ্ছে। পিএসজি-ও তাঁকে রাখতে রাজি নয় বলেই শোনা গিয়েছিল। কিন্তু মেসিকে রাখার জন্য নেমারকে ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল পিএসজির। এখন মেসি চলে যাওয়ায় নেমারকে রাখতে অসুবিধা নেই ফরাসি ক্লাবের। কিন্তু নেমার থাকতে রাজি নন।
অন্য দিকে, এমবাপেকে অনুশীলন করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্যারিস সঁ জরমঁ কর্তৃপক্ষ। এমবাপে এখন অনুশীলন করছেন ক্লাবের অতিরিক্ত ফুটবলারদের সঙ্গে। সতীর্থদের ক্ষুব্ধ এমবাপে বলেছেন, যে কোনও প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে ক্লাবের প্রথম দলকে হারানোর ক্ষমতা রয়েছে তাঁদের।
এমবাপের সঙ্গে ২০২৪ সালের অগস্ট মাস পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে পিএসজির। ফ্রান্সের ক্লাবটি চাইছে তাঁর সঙ্গে আরও ১২ মাসের চুক্তি সেরে ফেলতে। ক্লাবের এই প্রস্তাবে রাজি নন এমবাপে। তিনি চান চুক্তি শেষ হওয়ার পর ফ্রি ফুটবলার হিসাবে নতুন চুক্তি করতে। একাধিক বার আলোচনার পরেও সহমত হতে পারেননি দু’পক্ষ। এমবাপের এই মনোভাবে অসন্তুষ্ট পিএসজি কর্তৃপক্ষ। জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রাক-মরসুম সফরের পর সোমবার থেকে অনুশীলন শুরু পিএসজির। কোচ লুই এনরিকে মূল দলের ফুটবলারদের অনুশীলন করাবেন। কিন্তু ২৪ বছরের স্ট্রাইকারের জন্য বন্ধ থাকবে দুপুরের সেই অনুশীলনের দরজা। তাঁকে অতিরিক্ত ফুটবলারদের সঙ্গেই সকালে অনুশীলন করতে হবে। এমবাপেকে মূল দলের সঙ্গে প্রাক-মরসুম সফরেও নিয়ে যাননি পিএসজি কর্তৃপক্ষ।
মেসি ক্লাব ছেড়ে দিয়েছেন। এমবাপে অনিশ্চিত। এমন অবস্থায় নেমারও ক্লাব ছাড়তে চাইছেন। ব্রাজিলের ফুটবল তারকা এক সময় মেসির সঙ্গে জুটি বেঁধে বার্সেলোনায় খেলতেন। আবার সেই ক্লাবে ফিরতে চাইছেন নেমার। যদিও বার্সেলোনার যা আর্থিক পরিস্থিতি, তাতে নেমারকে তারা নিতে পারবে কি না, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। এমন অবস্থায় নেমারও সৌদি আরবের পথে পা বাড়াবেন কি না সেই দিকেও নজর থাকবে ফুটবল সমর্থকদের।