বছরের শেষ দিনে একেবারে ফেস্টিভ মুডে বাংলা। কলকাতা থেকে দীঘা, দুর্গাপুর থেকে দার্জিলিং নতুন বছরকে বরণ করে নিতে কোথাও রাস্তায় নামলেন মানুষজন, কোথাও ভিড় জমালেন তাকে ফেভারিট ডেস্টিনেশনে। সতর্ক ছিল পুলিসও। রাজধানী দিল্লিতে রাত দশটা বাডতেই কোনও কোনও জায়গা একেবারে খালি করে দিল পুলিস।
কলকাতার পার্ক স্ট্রিট, অ্য়ালেন পার্ক, ক্লাব ভার্দে, লেকটাউন, ফ্লোটেল থেকে ইকোপার্ক-সহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় মানুষজন চলে যান পার্টি মুডে। সন্ধে থেকেই পার্ক স্ট্রিটে মানুষের ঢল। তাদের সামাল দিল রাস্তায় নামল বিশাল পুলিস বাহিনী। অন্যদিকে, সন্ধে আটটায় মানুষের ঢল নামে লেকটাউনে। একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিলেন অভিনেতা দেব, নচিকেতা। কেউ কেউ বললেন পার্ক স্ট্রিট থেকে কিছুটা এগিয়েই রয়েছে লেকটাউন। অ্যালেন পার্কে মানুষের ভিড়কে সামাল দিতে পুলিস বাহিনী যেভাবে কাজ করেছে তা প্রসংশার যোগ্য। কোথাও কাউকে জটলা পাকাতে দেওয়া হয়নি। খোদ ডিসি সাউথ ছিলেন পরিস্থিতির তদারকি করতে। রাত যত বাড়তে তাকে ততই ভিড় বাড়তে থাকে। একেবারে পুজোর মতো মানুষের ভিড়। নজরদারির জন্য বসানো হয়ে ১১টি ওয়াচ টাওয়ার। বর্ষবরণের জন্য অনেকেই চলে গিয়েছেন দীঘা, দার্জিলিং-সহ রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র। পাশাপাশি, বাঁকুড়া, দুর্গাপুর, আসানসোল দেখা গিয়েছে উত্সবের ছবি।
কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যেখানে জনজোয়ার সেখানে দিল্লিতে একেবারে অন্য ছবি। রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় মানুষের সমাগম ছিল কিন্তু কলকাতার মতো আলোর রোশনাই ছিল না। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র কনর্ট প্লেসের মতো জায়গায় কোনও ভিড় জমতে দেয়নি পুলিস। রাস্তাঘাটে উত্সবের চেহারামাত্র নেই। পুলিস ভিড় সরাতে ঘনঘন প্রচার চালাচ্ছে। সপ্তাহের শেষদিনে অনেকেই কনর্ট প্লেসে খেতে আসেন বা শপিং করতে আসেন। কিন্তু শনিবার বছরের শেষ দিন হলেও ছবিটা ছিল একেবারে আলাদা। মানুষ আসছেন বটে কিন্তু কোনও গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। বর্ষবরণে দিল্লির মানুষ মাতছেন বটে কিন্তু তা ঘরে কিন্তু ক্লাবে।