করোনা ভাইরাসের জন্য প্রায় গোটা বিশ্ব যখন চিনের দিকে আঙুল তুলছে তখন ভারতের বিরুদ্ধে নতুন নতুন চক্রান্ত করছে বেজিং। একদিনে পাকিস্তানের মদতে অধিকৃত পাঞ্জাব ও কাশ্মীরে অর্থনৈতিক করিডরের নামে ভৌগোলিক পরিবর্তন ঘটানোর চেষ্টা করছে। অন্যদিকে নেপালকেও উসকানি দিচ্ছে ভারতের সঙ্গে অশান্তি পাকানোর জন্য। আর নিজের গদি বাঁচানোর জন্য তাতে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। এখন আবার খবর পাওয়া গেল যে নেপালে ভারত বিরোধী বিক্ষোভে টাকা ঢালছে বেজিং।
ভারতীয় গোয়েন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, নেপালে বর্তমানে পুষ্পকুমার দহল বা প্রচণ্ডের অনুগামীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ওলির অনুগামীদের বিভিন্ন জায়গা বচসা হচ্ছে। নেপালের মানুষকে জাতীয়তাবাদের আবেগে ভাসিয়ে নিজেকে সর্বশক্তিমান করতে চাইছেন ওলি। আর তাই চিনের মদতে ভারতের সঙ্গে প্রতি পদক্ষেপে অশান্তি লাগানোর চেষ্টা করছে। এর জন্য ভারতের সীমান্ত সংলগ্ন নেপাল (Nepal) -এর বিভিন্ন জায়গায় তৈরি হওয়া বিক্ষোভে টাকা ঢালছে শি জিনপিংয়ের সরকার। ইতিমধ্যে এর জন্য বিভিন্ন সংগঠনের হাতে আড়াই কোটি টাকা তুলে দিয়েছে নেপালে অবস্থিত চিনের দূতাবাস। তারপরই ওই সংগঠনের সদস্যরা নেপালের সাধারণ মানুষের মনে ভারত সম্পর্কে বিদ্বেষের মনোভাব তৈরি করছে। সীমান্ত বিবাদ থেকে শুরু করে নেপালের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নয়াদিল্লির হস্তক্ষেপের উদাহরণ দিচ্ছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই ধরনের খবর পাওয়ার পরেই চলতি সপ্তাহের প্রথমদিকে উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) ও সিকিম (Sikkim) সীমান্তে কড়া নজরদারি চালাচ্ছেন ভারতীয় জওয়ানরা। চিনের উসকানিতে নেপালের সরকার যদিও কোনও রকম বাড়াবাড়ি করার চেষ্টা করে তার যোগ্য জবাব দেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে।