পরীক্ষা কবে হবে, তা ঘোষণার দিনক্ষণের ইঙ্গিত দিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। শনিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, এক-দু’দিনের মধ্যেই এনবিই (দ্য ন্যাশনাল বোর্ড অফ এডুকেশন) নিট-পিজির নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে দেবে।
শুক্রবার রাতেই গবেষণার প্রবেশিকা পরীক্ষা ইউজিসি নেট, বিজ্ঞান বিষয়ক গবেষণার প্রবেশিকা সিএসআইআর-এর দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে জাতীয় টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)। এনটিএ তাদের বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আগামী ২১ জুলাই থেকে ৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ইউজিসি নেট হবে। নির্দিষ্ট দিন এখনও ঘোষণা করা হয়নি। সিএসআইআর ইউজিসি নেটও হবে ২৫ থেকে ২৭ জুলাই অর্থাৎ পরীক্ষা স্থগিত হওয়ার ঠিক এক মাস পরেই।
তবে পরীক্ষা পদ্ধতিতে বদল আনা হয়েছে। এর আগে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে হয়েছিল ওএমআর শিটে। এনটিএ জানিয়েছে, এ বার পরীক্ষা হবে কম্পিউটারে অর্থাৎ কম্পিউটার বেসড্ টেস্ট (সিবিটি)-এর মাধ্যমে। গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত নেট নেওয়া হত কম্পিউটারে। কম্পিউটারের পর্দায় প্রশ্ন আসত। প্রত্যেক প্রশ্নের জন্য চারটি উত্তর দেওয়া থাকত। তার মধ্যে সঠিক উত্তর বেছে নিতে হত পরীক্ষার্থীদের। কিন্তু জুনের নেট-এ সেই পদ্ধতিতে বদল আনা হয়। ফের পুরনো পদ্ধতিতেই ফিরে গেল এনটিএ। নেট এবং সিএসআইআর ইউজিসি পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘোষণার পরের দিন নিট-পিজি নিয়ে বড় ইঙ্গিত দিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী।
কেন নিট-পিজি স্থগিত করা হয়েছিল? স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ) নিয়ে একের পর এক অভিযোগ প্রকাশ্যে আসছে। সেই কথা মাথায় রেখেই এনটিএ যাতে অবাধ, স্বচ্ছ ভাবে পরীক্ষা নিতে পারে, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ মূল্যায়ন করার প্রয়োজন। সেই কারণেই পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে অনেকের মতে, প্রশ্নফাঁসের আশঙ্কা করেই আচমকা পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যদিও সরকারি ভাবে প্রশ্নফাঁসের তত্ত্বে মান্যতা দেননি কর্তৃপক্ষ।
সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় (নিট) অনিয়মের অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তাল গোটা দেশ। এখন পর্যন্ত দেশে এই ঘটনায় অনেকে গ্রেফতারও হয়েছেন। তদন্ত করছে সিবিআই। সেই ঘটনার আবহে এনটিএ-র ডিরেক্টর জেনারেল সুবোধ কুমারকে সরিয়ে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। তাঁর পরিবর্তে ডিজি পদে আনা হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার প্রদীপ সিংহ খারোলাকে। এ ছাড়াও কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে। এনটিএ যাতে অবাধ, স্বচ্ছ ভাবে পরীক্ষা নিতে পারে, সেটাই খতিয়ে দেখবে ওই কমিটি।