আদালত অবমাননার অভিযোগে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলিকে সমন পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী সাত দিনের মধ্যে ওলিকে আদালতে হাজির হয়ে এই বিষয়ে লিখিত আকারে জবাব দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার নেপালের সুপ্রিম কোর্টে জাতীয় সংসদ খারিজের জন্য জারি করা বি়জ্ঞপ্তির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হলফনামা জমা দেন বর্ষীয়ান আইনজীবী কৃষ্ণ প্রসাদ ভাণ্ডারি (Krishna Prasad Bhandari। এরপরই একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চলা এই সংক্রান্ত মামলাকে নাটক বলে কটাক্ষ করেন নেপালের কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি (K P Sharma Oli)। ৯৫ বছরের কৃষ্ণ প্রসাদ ভাণ্ডারিকে একজন গ্র্যান্ডপা লইয়ার (grandpa lawyer) বলেও ব্যঙ্গ করেন। এরপরই মঙ্গলবার দুই আইনজীবী কুমার শর্মা আচার্য্য ও কাঞ্চন কৃষ্ণ নেউপানে আদালত অবমাননার দুটি আলাদা আলাদা মামলা দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টে।
বৃহস্পতিবার সেই মামলাগুলির শুনানি হয় বিচারপতি মনোজ কুমার শর্মার এজলাসে। মামলাকারী দুই আইনজীবী ও কেপি শর্মা ওলির আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পর আগামী সাতদিনের মধ্যে আদালতে হাজির হয়ে দেশের কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রীকে এই বিষয়ে লিখিত জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক। কেন আদালত অবমাননার জন্য তাঁকে শাস্তি দেওয়া হবে না তার কারণ দর্শাতে বলেন।
গত কয়েক মাস ধরেই রাজনৈতিক ডামাডোল চলছিল নেপালে। এর জেরে গত ২০ ডিসেম্বর সকালে জরুরি বৈঠক ডেকে সরকার ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন কেপি শর্মা ওলির মন্ত্রিসভার সদস্যরা। সাত জন মন্ত্রী পদত্যাগ করার সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারি (Bidya Devi Bhandari)’র কাছে সংসদ ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেন প্রধানমন্ত্রী ওলি। এরপরই তাতে সায় দিয়ে সংসদ ভেঙে আগামী নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয় নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারির অফিস থেকে। যার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আজও নেপালে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ওলিবিরোধীরা।